নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নাম পরিবর্তন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির পরেও তা অমান্য করে অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন করে নানিয়ারচর মডেল সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সম্প্রতি নানিয়ারচরে বিদ্যালয়টির অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষায় সপ্তম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে এই প্রশ্ন উল্লেখ করা হয়। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম অসোন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জেনেছি। আগামী আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এধরনের প্রশ্ন পত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে নানিয়ারচর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঙ্গদ চাকমা কে বেশ কয়েকবার ফোন করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
পরে বিদ্যালয়ের বিআইসিটি শিক্ষক জ্ঞান চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন এবিষয়ে ক্লাস নেই না। আর ব্যস্ততার দরুণ বাইরে থেকে প্রশ্ন কেনা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ক্রয় করে পরিক্ষা নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রধান পরিক্ষা কেন্দ্রে আছেন বলে এড়িয়ে যান। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রজ্ঞাপন জারি করার মাধ্যমে স্যাটেলাইটটির নাম পরিবর্তন করার পরেও একটি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগের দোসররা লুকিয়ে থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলেও জানান তারা।
এদিকে একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার পৌরনীতি সুশাসন বিষয়ের প্রশ্নে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতির দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শীর্ষক প্রশ্ন করে নানিয়ারচর সরকারি কলেজ।বিষয়টি নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ১ (বিএস-১) নামে নামকরণের অনুমোদন দিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর ২০২৫ সালের ৩রা মে মাসে নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।