নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার শেষে আবারো রাজনৈতিক মাঠে নামলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ভূট্টো।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে রাঙামাটি জেলা মহিলা দলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অর্ধশত কর্মী সমর্থক নিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন তিনি। এসময় মহিলা দলের নেত্রীবৃন্দ ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেয় জেলা বিএনপির এই নেতাকে।
রাঙামাটি জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নূর জাহার বেগম পারুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবু নাছির, সহ সভাপতি জহির আহমেদ সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন।
জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক বাচ্চু মিয়ার সঞ্চালনায় ২৯৯নং আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বিএনপি নেত্রী মৈত্রী চাকমা, মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলি ইয়াসমিন ও পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী রোজি আক্তারসহ জেলা বিএনপি, মহিলা দল এবং বিভিন্ন ইউনিট কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাইফুল ইসলাম ভূট্টো বলেন, আমাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা আমার দুঃসময়ে আমার সাথে ছিলেন আমি তা ভুলবনা। আমি আগেও আপনাদের সাথে ছিলাম, বর্তমানে আছি এবং আগামীতেও থাকবো। আপনাদের মাথা নিচু হবে আমি এমন কাজ করবো না। আমি বিগত সময়ে ৫বছর মেয়র হিসেবে ছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাকে অসহযোগীতা করেছে। দীপংকর, মুসা ও আকবরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমি অনেক অপদস্ত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আপনারা মনে রাখবেন বিএনপি এখনও ক্ষমতায় আসেনি। আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান বলেছেন আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। তাই আপনি যদি মনে করেন নির্বাচন করবেন আর জয়লাভ করবেন এটা ভূল করবেন। আমরা আওয়ামী লীগ কে পচেঁ যাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাই। ৫ই আগষ্ট সকালে ও কেটে ফেলবো, মেরে ফেলবো বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন। কিন্তু দুপুর না গড়াতেই আপনারা পালিয়ে গেছেন। মনে রাখতে হবে এই দেশে ক্ষমতা জনগণের।
উল্লেখ্য গত ২২জানুয়ারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)‘র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিক এক আদেশে সাইফুল ইসলাম ভূট্টোর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারসহ প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গেলো বেছর মে মাসে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারানুযায়ী বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো।