নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষে আনসার, বিজিবি ও পুলিশ সদস্য বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন বলে জানানো হয় সভায়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
এসময় রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাছেম বিল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও রাঙামাটির সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটির সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং মঠ মন্দিরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলার শারদীয় দুর্গাপূজা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনের জন্য আহ্বান করা হয়। মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন করা হবে বলেও জানানো হয়।
সনাতন ধর্মের নেতৃবৃন্দ এসময় সড়কের বেহাল দশা, পৌরসভার সড়ক বাতির ব্যবস্থা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হলে জেলা প্রশাসক সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানেরও আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামিসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরাও শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় সার্বিক সহযোগিতার করবেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য রাঙামাটি জেলায় এবার ৪৪টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে হ্যাপিমোড়স্থ জগদ্ধাত্রী মাতৃ মন্দিরে নতুন ১টিসহ শহরে হবে ১৫টি মন্ডপ। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়িতে ১টি করে, কাপ্তাই ৮টি, রাজস্থলী ও কাউখালীতে ৪টি করে, বরকল ২টি, বাঘাইছড়িতে ৫টি ও লংগদুর ৩টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।