নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০তম শুভ জন্মতিথি উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটিতে আলোচনা সভা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী (পিএসসি)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোতাছেম বিল্যাহ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল আলিমসহ বিএনপি ও জামাতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আহবায়ক দেবব্রত চক্রবর্তী দেবু’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, শংকর মিশন রাঙামাটির অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ম্বামী সজলানন্দাগিরি মহারাজ, রাধা রাম বিহারী মন্দির অধ্যক্ষ নিতাই নুপুর দাশ ব্রহ্মচারী, পুরোহিত কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি রনধীর চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অরুপ মৎসুদ্দী, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা ও রাঙামাটি পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার প্রমূখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মিশু দে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ হোসেন বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে এসে আমি সত্যিই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছি। সকল ধর্ম বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সমাগম দেখে আমি অভিভূত। আপনারা দেখেছেন সম্প্রতি দেশে একটা আন্দোলন হয়েছে। দেশের প্রতিটা জায়গায় এখন সংস্কার হচ্ছে। এখন আমাদের মূল লক্ষই হচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কার। একটা রাষ্ট্রের সংস্কার করা। আমার মতে এই সংস্কার টা হওয়া উচিৎ আমাদের মনের সংস্কার দিয়ে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এটাই হচ্ছে আমাদের মনের সংস্কার। দেশে কোন সংখ্যালঘু বা সংখ্যা গুরু বলে কিছু নেই। বাংলাদেশের আমরা সবাই সমান। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যখন ভাঙ্চুর হচ্ছে তখন রাঙামাটিতে আমরা দেখেছি সম্প্রীতি কাকে বলে। প্রতিটা মন্দির নিরাপত্তার জন্য ধর্ম বর্ণ নির্বেশেষে ছাত্রসহ সকল সংগঠনের সবাইকে আমরা দেখেছি কারা কিভাবে মন্দির পাহারা দিচ্ছে। সারাদেশের জন্য এটা একটা নিদর্শন হতে পারে।
আলোচনা সভা শেষে পৌরসভা প্রাঙ্গন হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।