নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস‘র নেতাকর্মীদের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তপ্ত হয় পড়ে পুরো শহর। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের রাজবাড়ি এলাকায় বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী সরকার পতনের আন্দোলনে গুম, খুন ও সকল হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং বন্দি হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশের চেষ্টা করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
এসময় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউপিডিএফ‘র নেতাকর্মী এবং জেএসএস এর নেতাকর্মীদের মাঝে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রথমে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। সংঘর্ষ চলতে থাকলে সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্যরা ধাওয়া দিলে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইউপিডিএফ এর নেতাকর্মীরা শহরে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর মূল ঘাটিতে চলে এলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ইউপিডিএফ এর নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে পানি পথে রাজবাড়ি স‘মিল এলাকায় এসে মূল সড়কে ওঠার চেষ্টা করলে জেএসএস এর নেতাকর্মীরা তা প্রতিহতের চেষ্টা করলেই বাধে সংঘর্ষ। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘন্টাব্যাপি প্রচেষ্ঠা চালিয়ে উভয়পক্ষকে স্থান ত্যাগে বাধ্য করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার শুরুতেই সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে এই সংঘর্ষটি বিশাল আকার ধারণ করতে পারেনি। নাহয় ব্যাপক আকারে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো।