নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের শহর থেকে গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া পেলেও আজো মেঠো পথ পাড়ি দেয় পাহাড়ের অনেক বাসিন্দা। ইতোমধ্যে দেশের গ্রামে গ্রামে কার্পেটিং অথবা এসবিবি সড়ক নির্মিত হলেও নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা যেন তা থেকে বঞ্চিত।
সম্প্রতি নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় সেখানে নেই উন্নত কোন সড়ক। কাঁদা মাড়িয়ে পায়ে হেটে বাজারে পণ্য পরিবহন করেন স্থানীয়রা।
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক হতে তরুণী পাড়া, ধর্ম চরণ পাড়া ও সয়ন্দর পাড়া হয়ে রামহরি পাড়া পর্যন্ত একটি চলাচলের সড়ক রয়েছে সেটিও প্রায় চলাচলে অযোগ্য। ফলে ২ থেকে তিন কিলোমিটার পায়ে হেটে মেইন সড়কে পৌছে বাস বা জীপ যোগে পণ্য সরবরাহ করতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।
স্থানীয়রা জানায়, বয়ষ্ক নারী ও শিশু, কোশলমতি শিক্ষার্থী, রোগী ও পাহাড়ি পণ্য বহনকারী কৃষকরা দুই/তিন কিলোমিটার পায়ে হাটা অত্যন্ত কষ্টের। এই অমানুষিক কষ্ট থেকে বাচঁতে চান স্থানীয়রা। তাই তরুণী পাড়া হতে রামহরি পাড়া পর্যন্ত একটি সড়ক চান তারা।
এবিষয়ে বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা বলেন, নানিয়ারচর উপজেলায় অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক না থাকার ফলে আজো উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছেনা তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা।
রুপম চাকমা নামের এক পথচারী জানান, ঘিলাছড়ি বাজার থেকে সাপ্তাহিক বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরতে প্রচন্ড কষ্ট হয়। এখানকার নারীরা কোলে সন্তান ও কাধে পাহাড়ি পণ্য নিয়েই যাতায়াত করেন। এই তিন কিলোমিটার সড়ক উন্নত হলে সিএনজি বা জীপ যোগে যাতায়াত করা যাবে।
স্থানীয় উচিৎ মনি চাকমা বলেন, সড়কটি হলে একদিকে যেমন যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হবে, তেমনি পাহাড়ি পণ্য পরিবহণে আসবে গতিশীলতা। এতে করে ব্যবসায়ীরা গ্রামের ভেতরে গিয়ে পণ্য ক্রয় করতে পারবে। ফলে বাড়তি দাম পাবে চাষিরা।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খানের নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, “বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমরা খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানবো। প্রয়োজনে উপজেলা প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও আমি ঐ এলাকায় যাবো। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।