নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার মিলনায়তনে বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধর্মীয় প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত করুনা পাল থের।
বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকুমার মুৎসুদ্দী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক রিটন বড়ুয়া, উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট কল্যাণ মিত্র চৌধুরী, উপদেষ্টা প্রদীপ বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক রনজিত বড়ুয়া, হিসাব নিরীক্ষক প্রভাষক উজ্জ্বল কুমার বড়ুয়া, সহ-সভাপতি শংকর প্রসাদ, যুগ্ম সম্পাদক ধীমান বড়ুয়া ও উপাসক সমিরন বড়ুয়া প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে মৃদুল বড়ুয়া পঞ্চশীল পাঠ করলে বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত করুনা পাল থের স্বধর্ম দেশনা ও পুণ্যদান করেন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক বিগত বছরে সভার কার্যবিবরণী, হিসাব বিবরণী ও এসকল তথ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠ করেন। পরে আয় ও ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন অর্থ সম্পাদক রনজিত বড়ুয়া। এরপর হিসাব নিরীক্ষক উজ্জ্বল কুমার পর্যালোচনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় বক্তারা কয়েকজন উপাসক কর্তৃক কমিটির কার্যক্রম বিষয়ে প্রশ্ন তুলে উপাসক জেলা লিগ্যাল এইডে অভিযোগ করায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির বিষয়ে সবারই কম বেশি ভুমিকা রয়েছে। আজকে এই কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও জেলা লিগ্যাল এইডে অভিযোগ করায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বক্তব্যে অভিযোগকারীদের প্রতি নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, সামান্য এসব বিষয়ে আলোচনা পূর্বক সমাধান করা যেত। বড়ুয়া জনকল্যাণে কাজ করা এই সংস্থা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অভিযোগ করা সমিচিন হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সহ-সভাপতি শংকর প্রসাদ বলেন, আপনারা শুনেছেন আমাদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্খীত ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সবাই বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছি। সুতারং আমাদের একেকজনের মন মানসিকতা একেক রকম। তাই আমি মনে করি দুই পক্ষ একসাথে বসে আলোচনা পূর্বক আমরা একটা সুন্দর সিদ্ধান্তে পৌছতে পারবো।
বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকুমার মুৎসুদ্দী, আসন্ন আষাঢ়ী পূর্নিমা ও চীবরদানসহ যাবতীয় ধর্মীয়নুষ্ঠান পরিচালনায় বর্তমান কমিটিকেই দায়িত্বপালনের বিষয়ে প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবে বিহারের সহ-সভাপতি শংকর কুমার প্রসাদ বড়ুয়া সমর্থন করলে ধীমান বড়ুয়া, সমিরন বড়ুয়া, সম্ভু, সনত কান্তি, বিধান বড়ুয়া দিপক, বিপ্লব, হারাধন, অলোক প্রিয় চৌধুরী, স্বপন, উত্তম, নয়ন, মিল্টন, মানস, অমিতা বড়ুয়া মিনু, ও সেবিকা বড়ুয়াসহ উপস্থিত সকলে সাধুবাদের সহিত সম্মতি জ্ঞাপন করেন।