নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে জমে উঠেছে জমজমাট পাহাড়ি গরুর বিশাল কোরবানি হাট। উপজেলার প্রবেশপথেই প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে এই হাট স্থাপন করেছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রাধিন বাজার ফান্ড।
বুধবার (৫ জুন ) সাপ্তাহিক হাটে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারি সাইজের একেকটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকায়।
এ ছাড়া বিদেশি গরুর দাম ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা হাঁকা হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ কম। বিভিন্ন সাইজের গরুর পাশাপাশি এই হাটে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও। একেকটি বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। তবে চট্টগ্রাম ঢাকাসহ বিভিন্ন এলকার ব্যবসায়ী বাজারে না আসায় বাজারে গরুর দাম বেশ কম তাই খামারিদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার সীমান্তবর্তী সাজেক, দোসর, নিউলংকরসহ দূরদূরান্ত থেকে এসব গরু সাাত থেকে আট দিন হেঁটে উপজেলা সদরে পশুর হাটে আসছে। কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ছাড়াই পাহাড়ি এসব গরু বনে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠায় দেখতে বেশ হৃষ্টপুষ্ট। তাই সহজেই ক্রেতাদের মন কাড়ছে এসব গরু। এছাড়া বাজারে রয়েছে বাহামাসহ নানা প্রজাতির বিশাল দেহের বিদেশি গরুও।
প্রতিটি গরুর বিক্রির পূর্বেই উপজেলা পশু সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপসহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় নিয়মিত । পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা পশু সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রনয় খীসা বলেন এবার হাটে স্থানীয় ভাবে বেড়ে ওঠা প্রচুর গবাদিপশু সরবরাহ রয়েছে। এসব গরুতে কোন ধরনের মোটাতাজা করন ট্যাবলেট বা ইনজেকশন দেয়া হয়নি তাই প্রতিটি গরু স্বাস্থ্য সম্মত।
পশুর হাট ইজারাদার আব্দুর রহমান বলেন গতবছরের তুলনায় এবার বাজারে পশুর সংখ্যা বেশী হলেও ব্যাবসায়ী কম তারপরও এবার ৮-১০ কোটি টাকার লেনদেন হবে আশা করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি থাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিশ্রিতিও বেশ ভালো। বৃহৎ এই পশুর হাটটি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির হোসেন জানান, প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে এখানে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হয়। বাজারের সুন্দর পরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকায় হাটের পরিবেশও চমৎকার।