নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। কাপ্তাই লেকের বর্তমান পরিবেশ দেখে তিনি হতাশ। শুধু জেলেরা নয়, সকলেই সম্মিলিতভাবে কাপ্তাই লেকের নাব্যতা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৪ মে) রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপনন কেন্দ্রের আয়োজনে বিএফডিসির মৎস্য অবতরণ ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে জেলেদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, মাছ আহরণ বন্ধ থাকাকালীন এই ৩মাস আপনারা মাছ ধরবেন না। লেকে কোন ভাবেই কারেন্ট জাল ব্যবহার করবেন না এবং জাটকা মাছ ধরবেন না।
বাংলেদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৯৯আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ও রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ (এসপিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি), বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজি আবদুল আলীম মাহমুদ (বিপিএম), মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ জুলফিকার আলী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার) সহ সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, কাপ্তাই লেক ড্রেজিং করতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে করে যেমন মাছের উৎপাদন বাড়বে তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। লেক ড্রেজিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে লক্ষমাত্রা পূরণের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে ভুমিকা রাখবে বলেও জানান বক্তারা।
মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের পক্ষে উদয়ন বড়–য়া বলেন, সরকারী টোল দেওয়ার পরেও বিভিন্ন স্থানে আমাদের চাঁদা দিতে হয়। যা মৎস্য বাজারজাতকরণে বাধা হয়ে দাড়ায়। এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।
সভা শেষে নির্ধারিত জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়।