নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিতে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে এবারের দিবসটি পালিত হয়।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদের সদস্য ও সমবায় বিভাগের আহবায়ক ইলিপন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ঝর্ণা খীসা, রাঙামাটি জেলা সমবায় কর্মকর্তা মৌসুমী ভট্টাচার্য্য, জেলা পরিষদের উপ-সহকারী মিন্টু বড়–য়া, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া, উত্তর বনরূপা আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক মহিউদ্দিন পেয়ারু, উত্তর বনরূপা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক জিকেশন চাকমা, বঙ্গমাতা মহিলা সমবায় সমিতির লিঃ এর সদস্য সাদিয়া সেলিম বন্যা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে সমবায়ীরা বড় ভূমিকা রয়েছে। সমবায় সমিতির মাধ্যমে যে কোন ছোট কাজকে বড় করা সম্ভব। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে কাজকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না সমবায় সমিতির মাধ্যমে সেই কাজকে এগিয়ে নেয়া যায়। তাই সমবায় সমিতির মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নমুখী কাজ করতে হবে।
আলোচনা সবায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সমবায় সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা ছিল গভীর এবং ব্যাপক। বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিসহ নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায় একটি কার্যকর পদ্ধতি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে রাঙামাটি শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বনরূপা কল্পতরু কনভেনশন সেন্টার থেকে শুরু হয়ে শহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ কওে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে রাঙামাটি জেলার সমবায় বিভাগের নিবন্ধনকৃত বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্যরা ব্যানার ও ফ্যাষ্টুন নিয়ে র্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন।
সভা শেষে সমবায়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র অবদান রাখায় স্থানীয় সংগঠন ও ব্যক্তিদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।