নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আদি সংবিধান মোতাবেক আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালন, চাকুরীতে সর্বক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল ও প্রয়োগে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অঙ্গসংগঠন রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেন, জেলা সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান মিলন ও তানিয়া আক্তার।
মাহবুবুর রহমান ও তানিয়া আক্তার স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতার পূর্বে কেন্দ্রীয় সরকার (নিএসপি) পদে আঞ্চলিক এবং মেধা কোটার অনুপাত ছিল ৮০:২০। বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তনের পূর্বে (৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭২) বঙ্গবন্ধু তা অপরিবর্তিত রেখেছিলেন। বাংলাদেশের কোন আদেশ না থাকায় পক্ষপাতহীন প্রতিনিধিত্ব এর লক্ষে ৮০% আঞ্চলিক বা জেলা কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ৩০% ও মহিলা ১০% অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে অনুমোদিত আদি সংবিধানে উক্ত কোটা বৈধতা পায়।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতার ৫২বছর পরেও আঞ্চলিক কোটা বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছে মত বাস্তবায়িত না হওয়ায় ধনী এবং গরীবের আর্থ-সামাজিক বৈষম্য ক্রমাগত বাড়ছেই। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২২বছর মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কোটা দেওয়া হয় নাই। শুধুমাত্র ১৯৮২ হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৩.০৯% কোটা দেওয়া হয়েছিল।
এমতাবস্থায় আমরা বঙ্গবন্ধু সরকার ঘোষিত ১৯৭২ এ প্রদত্ত ৮০% জেলা (আঞ্চলিক) কোটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক বিধি-বিধান প্রতিপালনে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি অন্যথায় এটা সংবিধান লঙ্ঘন বা পরিপন্থি কার্যক্রম হিসেবে পরিগনিত হবে বলে আমরা মনে করি।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত জামাত বিএনপি সরকার পরিচালনায় এসে কোটার নিয়োগ না দিয়ে সীমাহীন দলীয়করণের ফলে কোটার উপযুক্তদের চাকুরীর বয়স চলে যাওয়ায় ২০০৯ সালে আপনি আবার সরকার গঠন করে চাকুরীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদেরও নিয়োগের সুযোগ করে দেন বলেও উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কার্যকারী সদস্য লিলি খাতুন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।