নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটি শহরের অদূরে প্রধান সড়কের পাশে কাঠবাহি ট্রাকে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল সোয়া নয়টায় দিনে-দুপুরে এই হমলা চালানোর ঘটনায় রাঙামাটিতে যুগপতভাবে আতঙ্ক এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দেপ্পোয়াছড়ি এলাকায় এই গুলি বর্ষণের ঘটনায় ট্রাকের চালক ছৈয়দুল আলম (২৫) গুরুতর আহত হয়েছে, তার বামপায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় চট্ট-মেট্রো-ট- ১১০৭৯৯ ট্রাকের সামনের দু’টি চাকা গুলিতে ফেটে যায়।
ট্রাকে থাকা কাঠের চালানদার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সকালে আমরা রাঙামাটি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়ার পর দেপ্পোছড়ি এলাকায় পৌঁছুলে রাস্তার ডান পাশের জঙ্গল থেকে আকষ্মিকভাবে ব্রাশ ফায়ার করা হয়। এতে ট্রাকের দুই চাকা ফেটে যায় এবং গাড়ির বডি ছিদ্র হয়ে চালকের পায়ে গুলি লাগে। তবে চালক ধৈর্যের সাথে গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়। পরে আমি চালককে নিয়ে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চলে আসি।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছৈয়দুল নামের একজন চালক কে হাসপাতালে আনার সাথে সাথেই আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেছি এবং তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের ২৫শে জানুয়ারী এই দেপ্পোছড়ি এলাকায় কাঠবাহি চলন্ত ট্রাকে ব্রাশ ফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। তারও আগে গত বছর ২০২২ সালের ২সেপ্টেম্বর আসামবস্তি কাপ্তাই সড়কের বড় আদমের তঞ্চঙ্গ্যাপাড়ায় চাঁদা পরিশোধ না করায় জেএসএস এর সহকারী কমান্ডার বিপ্লব চাকমা এবং কালেক্টর রিটন চাকমার নেতৃত্বে আনুমানিক ১০ সদস্যের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ ০৬টি সিএনজি অটোরিকশা এবং ০১টি পাথর বোঝাই ট্রাক আটক করে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর দুইটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সিএনজি অটোরিক্সাগুলো উদ্ধার করে। গত বছরের ১৬ই সেপ্টেম্বর রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে চাঁদার দাবিতে আরো একটি অটোরিক্সা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলো আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীরা। রাঙামাটি শহরের অদূরেই এই ধরনের সশস্ত্র ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।