নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ছৈয়দুল কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন দীপংকর তালুকদার এমপি।
মঙ্গলবার বিকালে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ট্রাক চালক ছৈয়দুল আলম (২৫) এর শারীরিক চিকিৎসার খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছুটে যান, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও রাঙামাটি পার্বত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এসময় দায়িত্বরত চিকিৎসকের নিকট থেকে ট্রাক চালক ছৈয়দুলের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং তার পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এসময় দীপংকর তালুকদার বলেন, অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা অনেক আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি। অন্য রাজিনৈতিক দলগুলো যদি আমাদের সাথে আসতো তাহলে এই দাবি তরান্বিত হতো।
তিনি আরো বলেন, এখন আগের তুলনায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম অনেক কমেছে। তাই সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকল কে অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। এসময় তিনি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে জনগণ কে সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানান।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম, ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেকেন্দার হোসেন চৌধুরী, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রুহুল আমিন, মিনি ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক টিটু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ পৌর কমিটির সদস্য সচিব দেবাশীষ পালিত রাজা প্রমূখ।
অপরদিকে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের পরেই ছৈয়দুল কে দেখতে হাসপাতালে আসেন রাঙামাটির পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। এর আগে ছৈয়দুল কে দেখতে হাসপাতালে আসেন রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসীন রোমান।
এক প্রশ্নের জবাবে আকবর হোসেন চৌধুরী প্রতিবেদক কে বলেন, দুষ্কৃতিকারীদের তো কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই। তারপরও আমরা লক্ষ্য করছি রাঙ্গামাটির শহরের বাইরে এই এলাকায় বার বার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এই নির্দিষ্ট কিছু চিহ্নিত জায়গায় যদি স্থায়ীভাবে পুলিশ ফাঁড়ি হয় তাহলে আমার মনে হয় জনগণ কিছুটা নিরাপদ বোধ করবে।
সশস্ত্র এই সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাক চালক ছৈয়দুল জানায়, আজ সকালে রাঙামাটি শহর থেকে কাঠ ভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলে সাপছড়ি ইউনিয়নের দেপ্পোয়াছড়ি এলাকায় পৌঁছালে আকষ্মিক তার গাড়ি লক্ষ করে হামলা চালায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।
এসময় তার গাড়িতে ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি ভেদ করে এবং বাম পায়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। প্রাণ বাঁচাতে এসময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে চলন্ত পিকআপ ভ্যানে উঠে পড়েন।
এই ঘটনায় ছৈয়দুল আলম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।