নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধীকার ভিত্তিতে ‘‘ ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মান শীর্ষক প্রকল্প” এর আওতায় রাঙামাটির কলেজ গেইটে জেলা সদর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন এমপি দীপংকর।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৯৯ নং আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার।
এসময় রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার), রাঙামাটি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এরশাদ (পিএসসি), রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী, রাঙামাটি সড়ক সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার, নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, মসজিদ কমিটির মোঃ শহিদুল আলম স্বপন, স্থানীয় মুসল্লী রবিউল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, রাঙামাটির দশ উপজেলাসহ সারাদেশে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক নির্মাণ করা হচ্ছে। একটু ভ’ল বোঝাবুঝি থাকলেও সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে এই কলেজ গেইটে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ তত্ত্বাবধায়ক, প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয় মুসল্লীসহ সকলের সকলে আন্তরিক ছিলেন বলে দ্রুত আমরা কলেজ গেইট মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে পারছি। এই মডেল মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, এটা ইসলামিক সাংস্কৃতি চর্চার একটা কেন্দ্র।
এসময় বক্তারা বলেন, মসজিদের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি ছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগের। অন্যের জমিতে মসজিদ নির্মাণ ইসলামে বিধান নেই। সড়ক ও জনপথ থেকে নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নিতে কিছুটা সময় লেগেছে। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত বিভাগ এবং স্থানীয় মুসল্লীদের আন্তরিকতায় দ্রুত মসজিদটি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকল কে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, রাঙামাটির কলেজ গেইট মসজিদ টি মডেল মসজিদ হিসেবে গত ২২ সেপ্টেম্বর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের আপত্তির মুখে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে বিক্ষুদ্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশ^াসে অবরোধ তুলে নেয় তারা। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কয়েক দফা আলোচনার ভিত্তিতে আহুত সমস্যা সমাধানের প্রেক্ষিতে নির্মান কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনন্দ ও উৎসাহ প্রকাশ করে স্থানীয় মুসল্লিরা।