নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম, বাঙালির কোটি মানুষের হৃদয়ে তিনি স্থান করে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার (এমপি)।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার আয়োজনে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমার সভাপতিত্বে এসময় পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোষন চাকমা ও বিউটি দত্তের যৌথ সঞ্চালনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অভয় প্রকাশ চাকমা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মুহাম্মদ আইয়ুব রহমান, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবির, পরিষদের জেলা শাখার সহ-সভাপতি প্রভাষক. সেলিম আহমেদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের সদস্য মনসুর আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে হত্যার পর ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেনি বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম, বাঙালির কোটি মানুষের হৃদয়ে তিনি স্থান করে নিয়েছেন। যুগে যুগে বাংলার ইতিহাসের পাতায় জাতির পিতার নাম স্বর্ণঅক্ষরে লেখা থাকবে। এসময় এমপি এতো ঝুঁকির মধ্যে দিয়েও রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন হওয়ায় প্রশংসা করেন এবং শুভ কামনা জানান। পরিষদের নেতৃবৃন্দরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর করার তারই লক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সকল নেতৃবৃন্ধকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাবে। শত প্রতিকূলতার মাঝেও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল ও মোমবাতি প্রোজ্জ্বলন করা হয়। এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্ধরা।