নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় বহু প্রতীক্ষিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে পুনরায় শুরু হয়েছে।
রোববার (১৭ আগষ্ট) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নানিয়ারচর উপজেলার একমাত্র মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির কাজ পুরোদমে চালু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সরকারের সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নানিয়ারচর উপজেলাতেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে স্থানীয়দের দাবি নানা জটিলতা ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল এর নির্মাণকাজ। এতে এলাকার মুসল্লীদের মধ্যে চরম হতাশা তৈরি হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে নির্মাণ শ্রমিকরা অসমাপ্ত অংশগুলোর কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ধারক দেওয়াল, ইস্তেঞ্জা, অযুখানা, লাইব্রেরি, মরদেহ ধৌতকরণ স্থান, টাইলস ও গ্লাস সহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সম্পুর্ণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপক মো. সিদ্দিক।
নানিয়ারচর উপজেলার সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, “দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে প্রকল্পটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তবে পুনরায় কাজ শুরু হওয়ায় মুসল্লীরা আশাবাদী, দ্রুতই এটি এলাকার একটি আধুনিক ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে চালু করা যাবে।”
এবিষয়ে রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান জানান, বেশ কিছু জটিলতায় নির্মাণ কাজ থেমে ছিল। এখন পুরোদমেই কাজ চলছে। আশাকরছি কয়েক মাসের মধ্যেই নানিয়ারচর উপজেলার একমাত্র মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। খুব শীঘ্রই মুসল্লীরা কাঙ্খিত সকল সেবা পাবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা জানান, আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদ শুধু নামাজের স্থান হিসেবেই নয়, বরং ইসলামিক শিক্ষা, গবেষণা, দাওয়াতি কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হবে। এতে তরুণ প্রজন্ম ইসলামের আদর্শ সম্পর্কে আরও ঘনিষ্ঠভাবে জানতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারাদেশে পঞ্চম ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এসময় মসজিদটির নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না করেই তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে লোক দেখানো উদ্বোধন করা হয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের।