জয়নাল আবেদীনঃ
গত ৬ জুলাই সকালে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের যৌথখামার এলাকার ক্যাথোয়াইশিং মারমার মাথা গোজার একমাত্র ঘরটি।
স্ত্রী, সন্তান, পুত্রবধু নাতী নাতনীদের নিয়ে ঠাই হয় জরাজির্ণ একটি ঘরে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর পরই উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয় আর্থিক সহায়তা, খাদ্য দ্রব্য ও ঢেউ টিন।
ক্যাথোয়াইশিং মারমা এর দুর্ভোগের বিষয়টি নজরে আসে রাঙামাটি সেনা জোনের। উদ্যোগ নেওয়া হয় ঘর তৈরী করে দেওয়ার। এক মাসের ব্যবধানে নতুন ঘর ক্যাথোয়াইশিং মারমাকে উপহার দেয় রাঙামাটি সদর জোন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় রাঙামাটি সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ জুনায়েদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী (এসইউপি, পিএসসি) ক্যাথোয়াইশিং মারমা এর বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিকুর রহমান, ক্যাপ্টেন সাদেকী আরাফান নিলয় (৬০ ইবি) রাঙামাটি জোন, ক্যাপ্টেন সাকিব হোসেন শাওন কাউখালী আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দিন সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ জুনায়েদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাহাড়ের মানুষের শুধু আইনশৃঙ্খলাই দেখে না। পাহাড়ের মানুষের আর্থিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন সহ যে কোন ধরনের সমস্যায় সহায়তা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ঘর উপহার দেওয়া।
এসময় তিনি আরও বলেন পাহাড়ের যে কোন সমস্যায় প্রশাসনকে পাশে নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এর ধারা অব্যহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ক্যাথোয়াইশিং মারমা বলেন, ঘর পুড়ে যাওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রশাসন, মেম্বার, চেয়ারম্যান আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। রাঙামাটি সদর জোন থেকে আমাদের ঘরে করে দিছে। এখন থেকে রোদ বৃষ্টি থেকে পরিবারের সবাই রক্ষা পাবে বলে জানিয়ে ঘরের মেঝেটি পাঁকা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।