নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম পেয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম গনজাগরণ পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ হাফেজ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তাকে রাঙামাটির ২৯৯নং আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
গত ১৮ই নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডে দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি। যাচাই-বাছাই ও ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের বৃহত্তম পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ২৯৯নং আসনে তাকে মনোনয়ন দেয় দলটি। মিজানুর রহমান একাধারে একজন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা।
কেন তিনি নির্বাচন করতে চান প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, রাঙামাটি জেলা গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই প্রতিটি সরকারের অবহেলায় ছিল এই জেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থার দূরাবস্থার ফলে বসবাসে অযোগ্য হয়ে উঠেছে এই জনপদ। একইসঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই জনপদকে হুমকির মুখে রেখেছে। আমাদের এই জেলা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে সহায়তা করে যাচ্ছে। অথচ এই জনপদের জীবনমান উন্নয়নে আজও কোনো মাস্টারপ্লান হয়নি। বারংবার ইলেকশনে জয় লাভ করেও কোন নেতাই জাতিগত দ্বন্দ, শ্রেণীবৈষম্য, মানুষ হত্যা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মোচন করতে সচেষ্ট হননি। বরংঞ্চ দলীয় ভেদাভেদকে আরো উস্কে দিয়েছেন সময়ে অসময়ে। ফলে সাধারন জনগন শিকার হয়েছেন অনাচার, অবিচার এবং অপমৃত্যুর।
তিনি আরো জানান, আমি নির্বাচনে জয়ী হলে একটি মাস্টারপ্লান করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় জনগণের সেবা করতেই নির্বাচনে লড়তে চাই।
মানুষ পরিবর্তন চায়, দীপংকর তালুকদার এবং আঞ্চলিক পরিষদের বাইরে নতুন নেতৃত্ব চায়। সেই জায়গায় তৃণমূল বিএনপি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কিংবদন্তি নেতা নাজমুল হুদার দলে যোগ দিয়ে আমি গণমুখী এই দলের অগ্রযাত্রার সঙ্গী হতে চাই।
দলের মূলনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি নয় বরং ধর্ম, দল, মত, জাতিগত বিভেদ নির্বিশেষে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ করা, মাদক, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ, অবৈধ দখলদারিত্ব, অনিয়ম ও দুঃশাসনমুক্ত সমাজ নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে দলটি কাজ করছে বলেও জানান।
তিনি নির্বাচিত হলে তরুণ প্রজন্ম কে সাথে নিয়ে রাঙামাটিকে আধুনিক, উন্নত এবং সমৃদ্ধ একটি জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান তৃণমূল এই নেতা। আজকালের মধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।