স্টাফ রিপোর্টার :
হঠাৎ করেই বাজার থেকে ডিম উধাও হয়ে গেছে। বুধবার রাঙামাটির বাজারগুলোতে ডিম কিনতে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন গ্রহকরা কিন্তু একটি ডিমও মেলেনি। কি পাইকারি কি খুচরা বাজার কোথাও ডিমের টিকিটিও নেই।
বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অস্থির ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক অভিযানের পর থেকেই ব্যবসায়ীরা বাজারে ডিমের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।
গত কয়েক মাস ধরেই রাঙামাটিতে ডিমের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমানে বাজারে সব কিছুর দাম চড়া হওয়ায় নিম্ন আয়োর মানুষের একমাত্র ভরসা ডিম। সহজলভ্য এই প্রাণিজ আমিষ খেয়েই তারা মাছ মাংংসের শোক ভুলে থাকেন। যদিও সকল শ্রেণির ক্রেতাদের মাঝেই ডিমের চাহিদা রয়েছে।
ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসন রোববার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এ সময় ডিমের দাম বেঁধে দেওয়া হয় ১২ টাকায়। এর বেশী দামে ডিম বিক্রী করলে জেলা জরিমানার আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ার করে দেয় প্রশাসন।অভিযানের পর মঙ্গলবার থেকেই পাইকারি ও খুচরা দোকানের ডিম লুকিয়ে ফেলেছে দোকানীরা।
শহরের বনরুপা, রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা দোকানে ডিম তো পাওয়াই যাচ্ছে না, অপরদিকে অধিকাংশ ডিমের পাইকারি দোকান বন্ধ রয়েছে; দু’একটি দোকান খোলা থাকলেও সেখানে ডিমের দেখা মেলেনি।
ডিম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, রাঙামাটির ব্যবসয়ীরা চট্টগ্রাম থেকে ডিম এনে বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীদের দাবি চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে ডিম আনতে তাদের সাড়ে বারো টাকা খরচ হয়। তাই ১২টাকায় ডিম বিক্রি করলে তাদের পোষায় না বলে ডিম আনছেন না এবং বিক্রিও করছেন না।
বুধবার রাতে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এবং কর্ণফুলি মার্কেটে যোগাযোগ করলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানায় চট্টগ্রামে বর্তমানে ১২ শ’ টাকা হিসেবে খুচরা ডিম বিক্রি হচ্ছে।পাইকারি আরো কম এবং ডজন হিসেবে একটু বেশি।