নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়িতে কলেজ শিক্ষক সোহেল রানা কে হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে স্মারকলীপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই স্মারকলীপি প্রদান করা হয়।
রাঙামাটি সর্বস্তরের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নিজেদের স্বাক্ষরিত একটি স্মরকলীপি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খানের হাতে তুলে দেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও মানবাধিকার কর্মী মো. কামাল উদ্দিন এবং সাংবাদিক হুমায়ুন কবির।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসান মুহাম্মদ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ সোহেল রানার বিচার দাবি করে। ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক সোহেল রানার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা করে। মামলার প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩ মার্চ তারিখে সোহেল রানা ঢাকায় গ্রেফতার হন। এরপর তিনি কারাগারে ছিলেন।
স্মারকলীপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, মামলার শুনানীতে আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয় ওই শিক্ষার্থী। তিনি স্বীকার করেন, সে কোন প্রকার ধর্ষণের শিকার হননি। পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ এর চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল।
মঙ্গলবার পাহাড়িদের প্রতিবাদের মুখে সোহেল রানা রিলিজ অর্ডার নিতে বিদ্যালয়ে এলে ত্রিপুরা এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে নির্মমভাবে হত্যা করে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই স্মারকলীপিতে।
খাগড়াছড়িতে ১৮সেপ্টেম্বর মামুন হত্যা, ১৯সেপ্টেম্বর দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রথমে হামলা ও ফাকা গুলি, ২০সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের আড়ালে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রথমে বাঙালিদের দোকানপাটে হামলা, মসজিদে হামলাকারী ও বাস, ট্রাক, সিএনজি ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতেও স্মারকলীপিতে উল্লেখ করা হয়।