মেহেদী ইমামঃ

বৈশ্বিক নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় যুবদের অংশগ্রহণ নিয়ে জাতিসংঘের ‘Summit of the Future’ শীর্ষক সম্মেলনে কথা বলবেন বাংলাদেশী যুবক সাফায়েত জামিল নওশান। এছাড়াও সে এবছর অক্টোবরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিতেও অংশগ্রহণ করবেন।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর দুইটি গুরুত্ব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি আমেরিকার উদ্দ্যেশ্যে উড্ডয়ন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাফায়েত জামিল নওশান ছোটবেলা থেকে শিশু অধিকার নিয়ে এনসিটিএফ (ন্যাশনাল চিলড্রেন্স টাস্কফোর্স) এর হয়ে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে ইয়েস (ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অব সাসটেইনেবিলিটি) বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
জামিল ২০২৩সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার এর যুব উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে যুব উপদেষ্টা হিসেবে তিনি বেলজিয়ামে ২৫তম ইউরোপিও ইউনিয়ন এনজিও ফোরাম এবং সুইজারল্যান্ড এর জেনেভায় ইউডিএইচআর (ইউনিভার্সাল ডিকলারেশন অব হিউম্যান রাইটস) এর ৭৫তম বার্ষিকীতে জাতিসংঘের উচ্চ স্তরের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন।
বর্তমানে সে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক অফিস (ইউএনওডিএ) তে পৃথিবীর ১৫জন নিরস্ত্রীকরণের জন্য জাতিসংঘের যুব চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে একজন হিসেবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
যুবদের অধিকার ও ভূমিকা নিয়ে তার অভিজ্ঞতার জন্য সে এই বছর জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলন এ অংশগ্রহণের ডাক পেয়েছেন। ‘Summit of the Future’ জাতিসংঘ আয়োজিত এই দশকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সভা। যেখানে রাষ্ট্রনেতারা বৈশ্বিক শাসন পুনর্গঠনের জন্য নতুনভাবে আলোচনা শুরু করবেন। এমন একটি সভায় জামিল নওশান এর অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গর্বের বিষয়।
জামিল নওশান এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে গর্বের সাথে বাংলাদেশ কে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। বর্তমানে সে কমনওয়েলথ ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডরস নেটওয়ার্ক এ কার্যকরী সদস্য হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এছাড়াও দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন যুব ও মানবাধিকার সংগঠনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
জামিল নওশান বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
বাংলাদেশের যুব সমাজের জন্য কাজ করে যেতে ও বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশের পতাকা হাতে প্রতিনিধিত্ব করতে চান এই যুবক। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণে এই বিদেশ যাত্রায় জাতির কাছে দোয়া চেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই কৃতি সন্তান।