মো. আলমগীর হোসেনঃ
গন্তব্যটা ছিলো ২২ কিলোমিটারের। গাড়ি দিয়ে দেড় ঘন্টার পথ পাড়ি জমিয়ে, নৌকা পেরিয়ে যেখানে পায়ে হেটে পৌঁছাতে প্রায় অর্ধবেলা কেটে যায়। যোগাযোগ বিছিন্ন এলাকা যেখানে নেই কোন নেটওয়ার্ক সিস্টেম, নেই কোন হাসপাতাল বা ফার্মেসী। অসহায় দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে, পাহাড়ী জনপথ অতিবাহিত করে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে ওষুধ, শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শনিবার লংগদু জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল হিমেল মিয়ার নির্দেশনায় উপজেলার ইয়ারিংছড়ি এলাকার লেবুছড়ি গ্রামে তিন শতাধিক পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে ওষুধ সহ শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর কাছে খবর আসে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ইয়ারিংছড়ি এলাকার লেবুছড়ি গ্রামের সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা। যেখানে রয়েছে দীর্ঘ দিনের হাত পা পঁচা, হাড় ভাঙ্গা সহ নানা রুগী, চিকিৎসা অভাবে কষ্ট পাচ্ছে তারা। বাস্তবিক চিত্রেও তা ফুটে উঠেছে এলাকাটিতে। কারো আগুনে পোড়া হাত, কাটা পা, পঁচা পায়ের গোড়ালি নিয়ে আগেকার দিনের ন্যায় কবিরাজি বা বনাজি ওষুধ সেবন করে বিকলাঙ্গ করেছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ।
এমত অবস্থায় লংগদু জোন অধিনায়কের নির্দেশনায়, অত্র জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর হোসাইন মোহাম্মদ মারুফ এর নেতৃত্বে, মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন হাসিবুল হক অর্নব এ সকল রুগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান বিনামূল্যে ওষুধ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
চিকিৎসা সেবা ও শীতবস্ত্র পেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে পাহাড়ী জনগোষ্ঠী। এই প্রথম ভালো মানের ফ্রী চিকিৎসা সেবা, বিনামূল্যে ওষুধ ও শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল হিমেল মিয়া বলেন,দুর্গম পাহাড়ের মানুষের কথা চিন্তা করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। এধরনের কার্যক্রম অতীতের ন্যায় চলমান আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।