নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি’র) ছাত্র হলের শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে হলের আসনে ছাত্র তোলাসহ কয়েকটি অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ০১ ছাত্রলীগ নেতাকে জরিমানা সহ ছয় মাস হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাবিপ্রবি প্রশাসন।
এছাড়া ছাত্র হলে চিৎকার করা, উচ্চস্বরে গান গাওয়া, উপহাস করা সহ আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে আরও চার ছাত্রকে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের পাঁচজনই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
মঙ্গলবার দুপুরে এক নোটিশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট দফতর।
ছয় মাসের জন্য ছাত্র হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আকিব মাহমুদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। আকিব মাহমুদ রাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনও কমিটি গঠন না হলেও একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছে আকিব।
প্রভোস্ট দফতরের নোটিশে বলা হয়েছে, রাবিপ্রবি আবাসিক ছাত্র হলে ভয়-ভীতি প্রদর্শন বা হুমকি প্রদান, নিয়ম বহির্ভূতভাবে হলের আসনে অন্য ছাত্রকে তোলা, পারস্পরিক সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আবাসিক ছাত্র হলের পড়াশোনার পরিবেশ ও শৃঙ্খলাজনিত বিধান লঙ্ঘন করায় আকিব মাহমুদ হাসানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৬ মাসের জন্য আবাসিক ছাত্র হলে প্রবেশ ও অবস্থানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
সতর্ক পাওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. রিয়াদ, পাংশু চাকমা, সিএসই বিভাগের মুহাম্মদ আবীর চৌধুরী ও মো. মহিউদ্দিন মুন্না। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
রাবিপ্রবি হল প্রশাসনের সহকারী প্রভোস্ট সৌরভ দত্ত ও আহমেদ ইমতিয়াজের যৌথ স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়েছে। সতর্ক পাওয়া ছাত্ররা এই আদেশ পুনরায় লঙ্ঘন করলে পরবর্তীতে বরাদ্দ করা আসন বাতিল, আর্থিক জরিমানাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, আগামী ৬ মাসের জন্য ছাত্রহলে প্রবেশ ও অবস্থানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এ আদেশ লঙ্ঘন করলে পরবর্তীতে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে সহকারী প্রভোস্ট সৌরভ দত্ত জানিয়েছেন, এমন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। অভিযুক্তদের বিভিন্ন সময়ে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিটিং করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আকিব মাহমুদ হাসান বেশ কয়েকবার এলাকার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে হলে প্রবেশ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মারধর করার মতো ঘটনা ঘটালেও অতীতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি রাবিপ্রবি প্রশাসন।