মেহেদী ইমামঃ
গত কয়েকদিনের অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিঘ্নিত হয়েছে যান চলাচল এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম এবং রাঙামাটি- খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড়ধ্বসে দুই ঘন্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি এলাকায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়েছে সড়ক। রাঙামটির কুতুকছড়ির বিকল্প সড়ক ও সেতু তলিয়ে অচল হয়ে পড়ে খাগড়াছড়ির সাথে রাঙামাটির যান চলাচল।
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ইছামতি খাল ও কাউখালী খালে পানি বেড়ে তলিয়ে যায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর।
নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধ্বসে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ১৫০টি পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান।
কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এসময় ঝূকিপূর্ণ পরিবার সমূহকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতেও সচেতনতামূলক অভিযান চালান।
এদিকে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বেড়াতে আসা ২শতাধিক পর্যটক আজও সাজেক ত্যাগ করতে পারেনি। কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সাজেকের একাধিক স্থানে সড়ক ডুবে পর্যটকরা গতকাল থেকেই আটকা পড়েছে।
এবিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু পাহাড়ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। ঝুকিপূর্ণ স্থান গুলোতে আমরা প্রচারাভিযান চালিয়েছি। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে শুকনো খাবার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহের মাঝে আমরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছি।