মেহেদী হাসানঃ
“পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি” প্রতিপাদ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।
শনিবার (২ আগষ্ট) সকালে রাঙামাটির জিমনেসিায়াম মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ)।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ এর সদস্য (সিনিয়র সচিব) এম এ আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ রাঙামাটির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন, রাঙামাটি জেলার বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার, জেলা সিভিল সার্জন ডা: নুয়েন খীসা সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু বৃক্ষ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে না পারলেও অন্তত সংরক্ষিত বনাঞ্চল যাতে কমে না যায় সে লক্ষ্যে আমাদের বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশে বন বিভাগ তথা বনায়নের সবচেয়ে বড় এলাকা। এই বনায়ন রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। বনায়ন শুধু পরিবেশ রক্ষা করেনা বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ধরনের ঔষধি কাজেও অনেক বৃক্ষ আমরা ব্যবহার করে থাকি। তাই বৃক্ষরোপণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে বনায়নকে সমৃদ্ধ করারও আহবান জানান বক্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম এমন একটা অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে যে, আঁশির দশকের মতো কোনো বনাঞ্চল এখন আর চোখে পড়েনা। আগে যেখানে বন জঙ্গল ছিল এখন সেখানে গাড়ি চলে। আমরা বনাঞ্চলকে ধ্বংস করে যাচ্ছি প্রতিনিয়তই। তাই বনাঞ্চল কর্তৃপক্ষকে এসবের দ্বায় নিতে হবে। আমরা সবাই বনায়ন নিয়ে ভাবি কিন্তু কেউ বনাঞ্চল নিয়ে কাজ করিনা। সেগুন গাছের পরিবর্তে অন্য গাছ রোপণেরও তাগিত দেন পার্বত্য উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণে অংশগ্রহণ করেন অতিথিরা। এর আগে মেলা উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে শুরু হয়ে জিমনেশিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ই আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকবে ২০২৫ সালের এই বৃক্ষমেলা
