নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটি শহরে শুক্রবারের সন্ত্রাসী ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহনসমূহের ক্ষতিপুরণ ও পরিবহন শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেয় যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
রোববার সন্ধ্যায় মালিক-শ্রমিক নেতাদের সাথে ধর্মঘট প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনায় বসে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন।
২ঘন্টাব্যাপী চলা বৈঠকে মালিক-শ্রমিক নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহনসমূহের ক্ষতিপুরণ, পরিবহন শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আহতদের সু-চিকিৎসার দাবী জানান। দীর্ঘ আলোচনায় দাবী মেনে নেওয়ার প্রেক্ষিতে পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল এরশাদ চৌধুরী পিএসসি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষে- সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, সিএনজি মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী বাবর, ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম আকাশ, মিনিট্রাক পিকআপ মালিক সমিতির আহ্বায়ক অলোকপ্রিয় চৌধুরী রিন্টু, সদস্য সচিব- নূর জামাল হাওলাদার, ট্রাক, মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এটিএম হাসমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার, মাইক্রো চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক দিদারুল আলম, মটর মালিক সমিতির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন, সিএনজি অটোরিক্সা সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম চুঙ্গু, অর্থ সম্পাদক অজিত দাশ, কার্যকরী সদস্য আলী হোসেন, বাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউসুফ ও সদস্য মো. আলমগীর সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহণ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা এসময় রাঙামাটি সড়কের যেসব স্থানে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হন সেসব এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়ে বলেন, কিছু হলেই রাঙামাটির পরিবহণ সেক্টরে হামলা করা হবে এটা মেনে নেওয়া যায়না। পরিবহণের চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।