নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন ভিন্ন-ধর্মালম্বী শিক্ষকরাই ইসলাম শিক্ষা বই। ফলে ১০০ নম্বরের আবশ্যক বিষয় ইসলাম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাপছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভিন্ন-ধর্মালম্বী শিক্ষক দ্বারা ইসলাম শিক্ষা পাঠদান করানো হচ্ছে জানিয়ে মুসলিম শিশুদের কথা বিবেচনা করে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি আবেদন করেছেন অভিভাবকরা।
আবেদনে স্বাক্ষরকারী এক অভিভাবক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে সাপছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় ৯৫ জন কোমলমতি হাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন। তার মধ্যে ৩৭ জন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন। অত্র বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২০ বৎসর যাবৎ কোন মুসলিম শিক্ষক নেই। তাই শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা পাঠদানে ভিন্ন-ধর্মালম্বী শিক্ষক দ্বারা ক্লাস নেওয়া হয়। তারা বিষয়টি বিবেচনা করে কোমলমতি মুসলিম শিশুদের কথা বিবেচনা করে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার আবেদন করেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এই নিয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা জানান, সম্প্রতি এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনাও দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুসলিম শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের শরনাপন্ন হয়েছেন।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল বলেন, সাপছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে একটি আদেন পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।