নিজস্ব প্রতিবেদক
রাঙামাটি শহরে কথিত কিশোর গ্যাং ঠেকানোসহ বখে যেতে বসা উঠতি বয়সী কিশোরদের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত ৮টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা টানা অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ৩৭ জনকে আটক করা হয়, পরে অবশ্য তাদের ছেড়েও দেওয়া হয় পরিবারে জিম্মায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন।
তিনি জানান, শহরের কাঠাঁলতলি, পৌরসভা এলাকা, বনরূপা, ট্রাইবেল আদাম, ফরেষ্ট কলোনী, কালিন্দিপুর, পাবলিক হেলথ এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকা, হাসপাতাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উঠতি বয়সি ৩৭ জন কিশোরকে আটক করা হয়। এখন থেকে রাত আটটার পর রাঙামাটি শহরের কোথাও উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকেরা আড্ডা দিতে দেখলেই পুলিশ তাদের আটক করবে বলেও যোগ করেন ওসি।
পুলিশী সূত্র জানায়, মোবাইল ক্যাসিনো, জুয়ার আড্ডা, মাদকের আড্ডাসহ কিশোর গ্যাং কার্যক্রম পরিচালনার সাথে জড়িতের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের অধিকাংশই ছাত্র এবং সভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাই তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের পিতা-মাতা, অভিভাবকদের থানায় ডেকে আনা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে মধ্যরাতে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। একই সাথে অভিভাবকদের সন্তনদের খোঁজ খবর রাখা, অকারণে ঘোরাফেরা না করতে দেওয়া, মাদক সংশ্লিষ্টদের সাথে না মেশা এবং সন্তানের নিয়মিত পড়াশোনার খোঁজ খবর নিতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়াও আটককৃত কিশোরদেরকে সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরে পড়ালেখা করতে বলা হয়। লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হয়ে বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে বলেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন বলেন, আমাদের মাননীয় পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম(বার) এর নির্দেশনায় বখে যাওয়া উঠতি বয়সি কিশোর ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অভিযান শুরু করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এখন থেকে রাত আটটার পর রাঙামাটি শহরের কোথাও উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েদের অহেতুক আড্ডায় দেখলে পুলিশ আটক করবে এবং এই ধরনের দৃশ্য দেখলে পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই কিশোরেরা যেন পড়ালেখা করে মানুষের মত মানুষ হয় এবং তাদের জীবন যেন বিপথে না যায় এটাই আমাদের প্রত্যাশা।