নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখতে নিয়মিত বাজার পরিদর্শন এবং দোকানে দোকেন ঘুরে পণ্যমূল্যের বৈধতা যাচাই, ভেজাল পণ্য রোধ এবং পঁচাবাসী ও ক্ষতিকর ক্যামিকেল যাচাই করছে রাঙামাটি জেলাপ্রশসান গঠিত ‘দ্রবম্যল্য মনিটরিং সংক্রান্ত টাস্কফোর্স’। জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে, কন্জুমার এসোশিয়েশন ক্যাব প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এ বিষয়ে একাধিক টিম রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন বাজার ও বিপনী বিতানে প্রতিদিন নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করছেন।
বুধবার ( ০৫ মার্চ) রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় বাজার পরিদর্শন করেন রাঙামাটি জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিব শংকর বসাক ও তার টিম। এসময় রিজার্ভ বাজার এলাকায় বিভিন্ন ফলের দোকানে গিয়ে দামের হেরফের দেখা যায়। এছাড়া কোনো ধরণের মূল্য তালিকা ছাড়াই তরমুজ বিক্রেতাদের তরমুজ বেচতে দেখা যায়, এবিষয়ে ভোক্তারা উচ্চমূল্যের অভিযোগ করলেও দোকানদাররা জানায় তারা ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় একটি করে তরুমুজ বিক্রি করছে। বিষয়টি অনিশ্চিত হওয়ায় তাদের মূল্য তালিকা বাধ্যতামূলকভাবে টানানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রথম দিন হওয়ায় তাদের জরিমানা না করে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এদিকে মঙ্গলবারও শহরের বনরূপা এলাকায় টাস্কফোস বাজার পরিদর্শনকালে দোকনদারদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেয়।
সোমবার রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রশাসন শহরের কলেজ গেইট এবং সাপছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি এলাকায় বিভিন্ন দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং করে। এ সময় জননী কুলিং কর্ণার নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু পণ্য যেমন স্প্রাইট, বাটারবান, কেক, চিপস, ময়দা, চানাচুর রাখার দায়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ এর ধারায় অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি দোকানদারদের মূল্য তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো, ব্যাবসায়ীদের পণ্য ক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়া বাজার মনিটরিং এর নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম। এসময় সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।