মো. আলমগীর হোসেনঃ
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমলের বিরুদ্ধে উন্নয়ন তহবিলের ভুয়া বরাদ্দ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ জানা যায়, ৬নং মাইনীমূখ ইউনিয়নে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল খাত মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) থেকে ২য় কিস্তির প্রকল্প মাইনীমূখ মডেল হাইস্কুলের ২টি পাকা টয়লেট সংস্কার বাবদ ২,৪৭,২০০টাকা এবং লংগদু রোড হতে ভারত চন্দ্র চাকমার বাড়ি পর্যন্ত ইট সলিং (এসবিবি) বাবাদ ১,৫০,০০০টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার সম্পূর্ণ টাকাই কোন কাজ করানো ছাড়াই আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
এ সম্পর্কে মাইনীমুখ মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুন্নেছা (রোজী) জানায়, কয়েক মাস আগে আমাদের স্কুলের ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে এমপি আসছিলো তখন তাড়াহুড়ো করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফয়জুল আজীম নিজে একটি ওয়াশ রুম বানিয়ে দেয়। এছাড়া কারা বরাদ্দ নিয়ে আসছে, কিসের বরাদ্দ এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে সরকার পতনের পর থেকে শুনছি আমাদের স্কুলের ওয়াশ রুমের নামে বাজেট আসছে ২লক্ষ ৪৭হাজার ২শ টাকা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, আমার এধরণের কোন প্রকল্প সম্পর্কে জানা নাই। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, আসলে আমাকে মাইনীমূখ মডেল হাইস্কুলের সাবেক সভাপতি হাজী ফয়েজুল আযীম ফোন দিয়ে স্কুলে নিয়ে টয়লেট সংস্কারের অনুরোধ করলে আমি বলি আমার এখন বরাদ্দ নাই, তখন ফয়েজ ভাই বলেন আমি এখন কাজ করিয়ে নেই তুমি বরাদ্দ আসলে দিও। আমি মনে করেছি তিনি সম্পূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছেন ও সেই কাজ যে এখনো হয়নি তা আমি জানতাম না।
এছাড়া লংগদু রোড হতে ভারত চাকমার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার ইট সলিং প্রকল্প চেয়ারম্যান সুকৃতি চাকমাকে রাস্তার কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারনে কাজ সম্ভব হয়নি। আর ইউপি চেয়ারম্যান কমল ও একই কথা বলেন। কিন্তু উভয় প্রকল্প সরোজমিনে পরিশর্দনে গিয়ে নির্ধারিত কাজ করতে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, মাইনীমূখ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমলের বিরুদ্ধে জমি দখল, ইয়াবা ও গাজা ব্যবসা, বিভিন্ন সময় ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দলীয় ক্ষমতা বলে ধরাকে সরা জ্ঞান করে নানা অনিয়ম করে আসছে। কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি।