সারাবাংলা ডেস্কঃ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে কটুক্তিকারী ভারতের সনাতন ধর্মের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়ণ রানের গ্রেফতার ও মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ের ফাল ইয়াফরাহু চত্বরে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল মালিবাগ মোড়ের ফাল ইয়াফরাহু চত্বর ঘুরে শাহজাহানপুর চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার আহবায়ক বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক (ম.) আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়। তার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটুক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরিয়াত ভিত্তিক শাস্তি মৃত্যুদন্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা হোক।
ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ হবে ভারতীয় রাষ্টদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। ভারত সরকারকে চাপ দেয়া যেন কুলাঙ্গার রামগিরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিৎ। যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।
বক্তারা আরো বলেন, ভারতে যখন মুসলমানরা চরম নির্যাতিত হচ্ছে, মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে, গরুর গোশতের জন্য মুসলমানদের শহীদ করা হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুরা শাহী হালে আছে। তাদের সরকারী সহায়তায় পূজা করতে দেয়া হচ্ছে। এটা কখনই ইনসাফ নয়। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে সরকারী ত্রাণ তহবিল থেকে প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হতো। অথচ ঈদে বা কুরবানীতে মসজিদগুলোতে কিছুই দেয়া হতোনা। এটা ছিলো আওয়ামীলীগের চরম বেইনসাফ।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বার বার শ্লোগান দিয়ে কুলাঙ্গার রামগিরির শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবী করতে থাকেন।