নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দশ হাজার পরিবার। ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের ২৭ টিতেই ইতোমধ্যে ২হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
টানা চতুর্থ বারের মতো ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুকনো খাবার, খিচুড়ি, ত্রাণ সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা যায় তাদের।
বৃহস্পতিবার উপজেলার বাঘাইহাট এলাকার পানিবন্দী পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার ও দুই-শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ খায়রুল আমিন (পিএসসি)।
বিজিবির মহাপরিচালকের নির্দেশে বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট এলাকার বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাঘাইহাট বাট্যালিয়ন (৫৪ বিজিবি)। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া তিন শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও বাঘাইহাট ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ প্রদান করেন, বাঘাইহাট বাটালিয়ন (৫৪ বিজিবি) অধিনায়ক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পিএসসি।
শুক্রবার উপজেলার মুসলিম ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও খাবার বিতরণ করেন, ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ আতিকুর রহমান (পদাতিক)।
এদিকে পানিবন্দি পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার। অসহায় পরিবার সমূহকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে প্রচারণা এবং বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি দূর্গতদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে বিএনপি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওমর আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন বাবু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ খাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অসহায় হয়ে পড়া এসব পরিবারের মাঝে বাড়িয়েছেন সহযোগিতার হাত।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে বাঘাইছড়ি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৩০টি গ্রামে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৩হাজার পরিবার। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ হাজার মানুষ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২০০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বন্যাদুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।