নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে পৌরসভার টোল আদায় কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৪জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক আহত দুই জনের নাম মোঃ মোশাররফ হোসেন (২০) ও মান্না (২২), তাদের বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাকি দুজনের মধ্যে মোঃ ইব্রাহিম খলিল (৩৬) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। আর একজনের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঘাইছড়ি থানা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুদ্দিন ও বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রহতুল্লাহ খাজা সমর্থকদের বাঘাইছড়ি পৌরসভার টোল আদায় বিষয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রথমে সামান্য মারামারি হয়। পরে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের কাছে খবর পেয়ে উভয় গ্রুপের শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোঠা নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় আহত হয় চারজন। পরে পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে উভয় গ্রুপ মারামারি বন্ধ করলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সূত্রটি আরো জানায়, বাঘাইছড়ি পৌরসভার টোল আদায় কেন্দ্রটি গত জুন মাসে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রহমানসহ ১৪জনের একটি গ্রুপ ১৮লক্ষ টাকায় পৌরসভার কাছ থেকে ইজারা নেয়। তারা দুইমাস টোল আদায়ের পর সরকার পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় টোল আদায় কেন্দ্রটির দখল নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পরে স্থানীয় মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় ছাত্রলীগ নেতা রহমান গং ১৫ লক্ষ টাকায় টোল কেন্দ্রটি সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুদ্দিনের কাছ বিক্রি করলে তারা টোল আদায় শুরু করে। কিন্তু শুক্রবার পৗর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ খাজা টোল কেন্দ্রটি কিনে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে নুরুদ্দীনকে বলেন, আমরা যেটা এমনিই পেতাম সেটা তুমি কেনতে গেলে কেন? এ নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। গুরুতর আহত মোশাররফ ও ইব্রাহীম নুরুদ্দিনের সমর্থক।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহমেদ মারামারির বিষয় নিশ্চত করে জানান, দুই যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থালে গিয়ে তাদের শান্ত করি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
রহমত উল্লাহ খাজা জানান, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে হঠাৎ মারামারি পর্যন্ত গড়ায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নুরুদ্দিনও জানান, টোর আদায় কেন্দ্রের বিষয়টি গতকাল স্থানীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। আর মারামারির ঘটনা ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে।
তিনি আরো জানান, আওয়ামী লীগের কিছু লোক বিএনপিতে ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের কারো ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে।