বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ
এক টুকরো আশ্রয়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিলো “মানবতার তারুণ্য” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পূর্ব লাইল্যাঘোনা এলাকায় “একটি ঘর, একটি স্বপ্ন” প্রকল্পের আওতায় সমাজের সুবিধাবঞ্চিত একটি অসহায় পরিবার পেল তাদের স্বপ্নের একটি ঘর, যা শুধু চারটি দেয়াল নয়, বরং মানবিকতা, ভালোবাসা ও সাহচর্যের এক অনন্য নিদর্শন।
গতকাল এক ছোট্ট আয়োজনে নির্মিত ঘরটি ওই অসহায় পরিবারের কর্তার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজয় টিভির বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি আব্দুল মাবুদ, একাত্তর টেলিভিশনের বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি ওমর ফারুক সুমন, বাংলাদেশ বেতারের বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি মোঃ মহিউদ্দিন, আরটিভি বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান সোহাগ এবং পূর্ব লাইল্যাঘোনা সমাজের মাতব্বর মুনাফ সহ এলাকাবাসী।
ছোট্ট অথচ আবেগঘন এই অনুষ্ঠানে ঘরের চাবি হস্তান্তরের পর অতিথিরা পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। তারা পরিবার প্রধান কে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জীবনযাপনের পরামর্শ দেন এবং বলেন, এই ঘর যেন আপনার জন্য একটি নতুন জীবনের সূচনা হয়। আমরা পাশে আছি, পাশে থাকব।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, আমরা যখন কাজটি শুরু করি, তখন আমাদের ফান্ডে এক টাকাও ছিল না। কেবল মানুষের জন্য কিছু করার দুর্দমনীয় ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এগিয়ে গেছি। আল্লাহর রহমতে এবং সবার সহযোগিতায় আমরা আজ এই ঘর বুঝিয়ে দিতে পেরেছি।
সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো আরিফুল ইসলাম বলেন,
মানবতা ও তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ এক অসহায় পরিবার নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে। এই উদ্যোগ আমাদেরকে শিখিয়েছে চাইলেই সম্ভব, একসাথে হলে অসম্ভবকেও জয় করা যায়।
সুবিধাভোগী ওই পরিবারের কর্তা আব্দুস সালাম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না এতদিন যেটা শুধু স্বপ্ন ছিল, আজ সেটাই বাস্তব। আমার মেয়েগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতাম। এখন বুঝি, আল্লাহ মানুষ পাঠান মানুষরূপেই। আমি সবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
এলাকাবাসীরা এই উদ্যোগকে অভূতপূর্ব বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলেন, এই ধরনের কাজ আজকের সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ‘মানবতার তারুণ্য’-র প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পরিবারের তিন কন্যার শিক্ষার দায়িত্ব নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন উপস্থিত অথিতিরা ও সংগঠনের পরিচালকবৃন্দ।
তারা জানান, পড়ালেখার ব্যয় ভার তারা পর্যালোচনা করে বহন করবেন।