॥ মেহেদী ইমাম ॥
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান দাঙ্গা, হামলা, সংঘর্ষ ও সাম্প্রদায়িক ঘটনাসমূহ কে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। অনাকাঙ্খিত এসব ঘটনা আওয়ামী লীগের তৃতীয়-চতুর্থ সারির নেতাকর্মীরাই ঘটাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। আওয়ামী লীগ উস্কানি দিয়ে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে এবং গুজবে কান না দিয়ে ষড়যস্ত্রকারীদের পাতানো ফাঁদে পা না দিতেও স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানান সাবেক এই সাংসদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে তিনি পার্বত্যবাসীকে এ আহ্বান জানান।
তিনি তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, দীর্ঘমেয়াদি দাঙ্গা লাগিয়ে বর্তমান সরকারকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছে প্রতিবেশী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। পাহাড়কে ইস্যু করে অন্তবর্তিকালিন সরকার কে ব্যর্থ প্রমাণ করে আওয়ামীলীগ পূণরায় হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন এই নেতা।
এ অবস্থা চলতে থাকলে পাহাড়ে আমরা পাহাড়ি-বাঙালী কেউই স্ব-স্ব অবস্থানে নিরাপদে বসবাস করতে পারবো না এবং দিন শেষে আমরা নিরীহ জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হব উল্লেখ করে তিনি, চলমান এসব ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীরা যে সম্প্রদায়েরই হোক তাদেরকে কঠোর হস্তে মোকাবেলা ও গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
ঢাকা-চট্টগ্রামে অবস্থান করে এসকল ঘটনার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী নেতাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আমি মনে করি বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা জনগণ কোনক্রমেই ভালো ভাবে নিবে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির পরিক্ষিত এই সৈনিক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ এনে মামুন নামের এক যুবক কে হত্যা করা হয়। পরে দীঘিনালা, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এর প্রভাব। এরপর থেকে পাহাঢ়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। আজ খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সোহেল রানা নামের এক কলেজ শিক্ষক কে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। এতে আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়।