নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, বিনামূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নানিয়ারচর জোন (ইনভিসিবল সেভেন্টিন)।
গতকাল (মঙ্গলবার ২রা নভেম্বর) দুপুরে নানিয়ারচর জোনের আওতাধীন দুর্গম বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের কুড়ামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয়দের মাঝে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন, নানিয়ারচর সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ মশিউর রহমান পিএসসি।
এসময় নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ মশিউর রহমান পিএসসি, দূর দুরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ ও শিশুদের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বিভিন্ন বয়সী রোগীদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সাথে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কুড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচির আওতায় শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর ও বয়ষ্কদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এদিকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এমন মহৎ উদ্যোগ কে সাদুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা। এলাকা কুড়ামারা, টং তুলিয়াপাড়া সহ এ এলাকার নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর ও বয়স্ক এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন।
এবিষয়ে নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মশিউর রহমান পিএসসি বলেন, এলাকার জনগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিঃস্বার্থ এই সহযোগীতায় অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা নানিয়ারচর জোনের পক্ষ থেকে অত্রাঞ্চলের এলাকার জনসাধারণের কল্যাণে চিকিৎসা সেবা সহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর হতে কুড়ামারা এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অপারেশন চলাকালীন সময় দেখা যায় এলাকাটি দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় এই এলাকার জনসাধারণ সুচিকিৎসা হতে বঞ্চিত। দুর্গম এই এলাকায় কোন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র না থাকায় বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী অসুস্থ্য হলে তারা উন্নত চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হয় এবং চিকিৎসার মান খুবই শোচনীয়।
এমন শোচনীয় অবস্থার বিষয়ে জানতে পেরে কুড়ামারা এলাকায় এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক দিক বিবেচনা করে এই এলাকায় একটি মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচির ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নানিয়ারচর জোন কমান্ডার

