নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
“সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় শান্তিচুক্তির ২৬বছরপূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটির নানিয়ারচরে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২রা ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আয়োজিত প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নানিয়ারচর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল এস এম রুবাইয়াত হুসাইন (পিএসসি)।
এসময় নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল এহসান খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর জামাল হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, সাবেক্ষং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুপন চাকমা, নানিয়ারচর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা, বুড়িঘাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা ও ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমাসহ স্থানীয় ক্রীড়া প্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।
নানিয়ারচর জোন বনাম নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের মাধ্যে এই প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত এই প্রীতি ম্যাচে ২/১ সেট পয়েন্টে বিজয় লাভ করে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ। খেলা শেষে বিজয়ী দলসহ ২দলকেই পুরষ্কার বিতরণ করে অতিথিরা।
এদিকে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে র্যালী, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিং ও ঔষধ বিতরণ এবং শীতের কম্বল বিতরণ করেছে নানিয়ারচর জোন।
পুরষ্কার পর্ব শেষে বক্তব্যে নানিয়ারচর জোন অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা নানিয়ারচর জোন তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এমন সম্প্রীতিমূলক ও জনকল্যানমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পাহাড়ে বসবাসকারী জনসাধারণের সার্বিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। এই প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় হবে আমি সেই প্রত্যাশাই করি।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৬সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি কয়েক দফা সংলাফের হয়। পরে ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি নামে পরিচিত।
এই চুক্তির ফলে এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রক্তপাত, সংঘাত ও রাজনৈতিক সংকট পূর্বের সঙ্কট কিছুটা কমেছে। তবে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা লক্ষ করা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও পাহাড়ের বিশেষ একটা গোষ্ঠির দাবি শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন হলেই মিলবে শান্তিচুক্তির সুফল। তবে বিশ্লেষকদের রয়েছে ভিন্ন মত।