নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
একটি হিমাগার না থাকায় প্রতি বছরই আনারস চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। নানিয়ারচরে আলোচনা সভায় এমনটাই জানিয়েছেন বক্তারা। নানিয়ারচরে মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি লিমিটেড এর উদ্যোগে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা জানান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নানিয়ারচর উপজেলা হার্টিকালচার সেন্টার মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেছা।
নানিয়ারচর মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য দয়াল দাশ, প্রতুল দেওয়ান ও নাইপ্রু মারমা, নানিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান, নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজির আলম, বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা, নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন মিয়া, হার্টিকালচার সেন্টারের উদ্বানতত্ত্ববিদ ও নানিয়ারচর উপজেলা সমবায় অফিসার তাপস দেওয়ান।
মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি লিমিটেড এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম রানার সঞ্চালনায় এসময় নানিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হাওলাদার, সহ সভাপতি রণো বিকাশ চাকমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুর জামাল হাওলাদার, নানিয়ারচর মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি লিমিটেড এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম উদ্দিন রাফি, নানিয়ারচর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম দাশ এবং নানিয়ারচর ট্রাক ও মিনিট্রাক চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. কামরুল হাসান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেছা বলেন, নানিয়ারচরে কৃষিতে ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সরকার কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে সারাদেশে ১০০টি হিমাগার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে নানিয়ারচরে ও একটি হিমাগার তৈরি করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবো৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য দয়াল দাশ বলেন, নানিয়ারচর মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি লিমিটেড এর সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার সমিতির সদস্যদের অফিসের জন্য একটি ভবন বরাদ্দ দিয়েছেন। ২/৩মাসের মধ্যেই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। নানিয়ারচরের আনারস চাষিদের জন্য তিনি খুবই আন্তরিক বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নানিয়ারচর উপজেলা একটি কৃষি সম্ভাবনাময় একটি এলাকা। নানিয়ারচর মৌসুমি ফলের জন্য বিখ্যাত। এখানে আনারসের পাশাপাশি কাজুবাদাম, রাম্বুটান, ড্রাগন, কমলা ও লিচু সহ নানা রকম স্বুসাদু ফল পাওয়া যায়। এখানে সরকারিভাবে আনারস চাষিদের জন্য কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেই, কোন হিমাগার নেই। ফলে প্রতি বছর আনারস চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রাসায়নিক সার ব্যবহারের মাধ্যমে এই এলাকার আনারস চাষ ভবিষ্যৎ এ হুমকির মুখে পড়তে পারে বলেও জানান বক্তারা। কৃষি এগিয়ে গেলেও দেশ এগিয়ে যাবে বলেও যোগ করেন বক্তারা।