মেহেদী ইমামঃ
রাঙামাটির নানিয়ারচরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার (ওসি এলএসডি) বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের পাহাড়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে এসব অভিযোগের বেশ কিছু সত্যতাও মিলেছে। দীর্ঘদিন ধরে নানিয়ারচর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ক্যাচাথুই মারমার বিরুদ্ধে খাবার অযোগ্য নিম্নমানের ভেজাল চাল বিতরণ, চেক জালিয়াতি ও অনৈতিক লেনদেন, ভিজিডি, ভিজিএফ এবং পুষ্টি চাল পরিমানে চাল কম দেওয়া সহ নানা রকম অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে অভিযোগের ভিত্তিতে নানিয়ারচর উপজেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন, নানিয়ারচর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মশিউর রহমান, পিএসসি।
এসময় নানিয়ারচর জোন স্টাফ অফিসার মেজর মোঃ আসিফুর রহমান, পিএসসি ও নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজির আলম সহ সেনা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে নানিয়ারচর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মশিউর রহমান বলেন, এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে বেশ কিছু বিষয়ের সত্যতা মিলেছে। আমরা এবিষয়টি ইউএনও, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা, দুদকের জেলা উপপরিচালক ও থানা পুলিশ কে জানিয়েছি। যথাযথ তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে তার সাথে যারাই সম্পৃক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের উত্তম চাকমা নামে এক বাসিন্দা জানান, সরকারিভাবে বিতরণকৃত ভিজিডি, ভিজিএফ ও টিসিবির চালের বস্তায় নিম্নমানের চাল পাওয়া যায়। যা খাবার অযোগ্য।
অপর এক চাল ব্যবসায়ী জানান, সরকারি ইস্যুকৃত ভিয়েতনাম চাউল রানীরহাট এক দোকান থেকে পরিবর্তন করে নিম্নমানের আতপ চাউল ক্রয় করে তা নানিয়ারচরে বিতরণ করেন। প্রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজ নামে সে চালের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন।
উল্লেখ্য, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ক্যাচাথুই মারমার বিরুদ্ধে নিম্ন মানের চাল বিতরণ, শ্রমিক ব্যবহার করে প্রতি চালের বস্তা থেকে ২-৩ কেজি হারে সরিয়ে রেখে সেই চাল বিতরণ করা, সরকারি ইস্যুকৃত ভিয়েতনাম চাউল পরিবর্তন করে নিম্নমানের আতপ চাউল ক্রয় ও বিতরণ, মেয়ের নামে নিজেই চালের ব্যবসা পরিচালনা ও চেক জালিয়াতি সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ২০১৮ সাল থেকে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর নিকটাত্মীয় দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।