নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রামে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নানিয়ারচরে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্প জাতীয় মাছ চাষে চাষীদের মাঝে দিনব্যপী এই রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নানিয়ারচর হার্টিকালচার সেন্টারের কনফারেন্স রুমে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস।
নানিয়ারচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেন ফাহিম, মৎস্য বিভাগের ফিল্ড সুপারভাইজার কৃতিরাজ খীসা ঝিনুক ও অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মৎস্য চাষ করে লাভবান হওয়া খুবই সহজ। পূর্বে আপনাদের কে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আপনারা ইতোমধ্যে কার্প জাতীয় মাছ চাষে সম্ভাবনার মুখ দেখছেন। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস রয়েছে। মৎস্য চাষ বিষয়ে যে কোন পরামর্শের জন্য আমাদের দরজা উন্মুক্ত। আমরা আপনাদের সেবা দিতে এসেছি। আপনারা আমাদের নিকট থেকে সেবা নিতে কুন্ঠাবোধ করবেন না। এসময় তিনি কার্প জাতীয় মাছ চাষের উপকারিতা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা শেষে উপজেলার কেঙ্গেলছড়ি এলাকার রঞ্জন চাকমার প্রদর্শনী মৎস্য খামারের সুফলভোগীদের মাঝে ১৫কেজি মাছের পোনা, ২০কেজি জিওলাইট, ১টি জাল, ১০০কেজি ডলোচুন ও ২০০কেজি মাছের খাদ্য বিতরণ করেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
দিনব্যাপি এই কর্মসূচির আওতায় বিকেলে সুফলভোগীদের নিয়ে কাউখালীর মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার (মিনি হ্যাচারী) পরিদর্শন করেন, মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
এসময় কাউখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের মাছের পোনা ক্রয় বিক্রয় এবং উৎপাদন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।