নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা কে বলা হয় আনারসের রাজধানী। রসে টইটুম্বুর এই আনারসের জাত হলো হানিকুইন। প্রতি বছরই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে যায় হানিকুইন জাতের এই আনারস। গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও কয়েকবছর ধরে প্রায় সারাবছরই বাজারে মেলে আনারস। চাষিরা বেশ চড়া দামেই আনারস বিক্রি করে হচ্ছেন স্বাবলম্বী।
সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আনারসে এবার দাম না পেয়ে হতাশ স্থানীয় কৃষকরা। প্রতিবারের মত এবারো চড়া দাম পাবার আশায় উন্নত সার ও ভিটামিন প্রয়োগ করেছে কৃষকরা। রমজানে বাড়তি চাহিদা থাকায় যোগান দিতে অগ্রীম ফল উৎপাদন করেন তারা। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে তেমন দাম পাননি তারা।
স্থানীয় খুদে ব্যবসায়ী মো. হালিম বলেন, মৌসুমের শুরুতে আমি বেশ কিছু ফল কিনেছি। তখন তেমন দাম পায়নি। আর এখন ফল প্রায় শেষের পথে। রমজানের কারণে এখন দাম কিছুটা বাড়তি পেলেও বাজারে ফলের যোগান কম।
স্থানীয় আনারস চাষি রবিউল জানায়, এবার তিনি ঋণ নিয়ে ৬০হাজার আনারসের চারা রোপন করেছিলেন। রমজানের আগেই ফল চলে আসে। তখন বাজারে পর্যাপ্ত দাম না থাকায় কম মূল্যে বিক্রি করেছেন তিনি। এখন আনারসের বাড়তি দাম হলেও বাগানে আনারস নেই। এতে বড় রকমের ক্ষতি গুনতে হচ্ছে তার।
ঢাকা, গাজিপুর, সিলেট, সদরঘাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনারস সরবরাহ করেন এমন এক ব্যবসায়ী জানান, এবছর মৌসুমের শুরুতে দাম একদমই কম থাকায় প্রায় সব ব্যবসায়ীর কমবেশি ক্ষতিই হয়েছে। ২থেকে ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে এমন অনেক ব্যবসায়ীই রয়েছেন। তবে ইদানীং দাম একটু বাড়তি থাকায় ব্যবসায়ীরা কিচ্ছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে ধারনা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ বলেন, নানিয়ারচরে প্রায় ১৪শত হেক্টর জমিতে এবার আনারস চাষ হয়েছে। এতে করে লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ৩০হাজার মেট্রিকটন আনারস উৎপাদন হয়েছে। জ্যুস ও চিপস প্রক্রিয়াজাত করে যদি সারাদেশে সরবরাহ করা যায় তবে স্থানীয় চাষিরা বেশ উপকৃত হবে।