মেহেদী ইমামঃ
দীর্ঘ দেড় যুগ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটি পৌরসভা শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি আল আমিন ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী (সাবেক এমপি) এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি ইসলামিক সেন্টারের চেয়াম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোক্তার হোসেন, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ নুরুল আলম সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম, সাবেক আমীর মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা সেক্রেটারি মো. মনছুরুল হক।
রাঙামাটি পৌরসভা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য এ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহর সঞ্চালনায় এসময় জেলা জামায়াতের নেতা এ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, পৌর সেক্রেটারী মাঈন উদ্দিন, বিভিন্ন উপজেলা সমুহের আমীর, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শাহজাহান বলেন, সৈরাচার সরকারের সময় আমরা পথে ঘাটে চলতে পারনি। বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে দিনের পর দিন জেলে থাকতে হয়েছে। তারা জামায়াতে ইসলামি কে বাংলাদেশ বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছে। আজকে স্বাধীনতার ৫৩বছর পর প্রমাণিত হয়েছে জামায়াত বাংলাদেশ বিরোধী নয়। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ দেশ শাসনের মধ্য দিয়ে ভারতের তাবেদারি করেছে। সে কারণেই আওয়ামিলীগ কে বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ডামি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বারবার ক্ষমতার মসনদে বসেছে। ৫৭জন সেনা কর্মকর্তা কে হত্যা ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাসি দিয়ে তারা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছে।
বক্তব্যে প্রধান বক্তা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৮বছর এবং এর আগে মোট ২৯টা বছর আমরা শান্তিতে থাকতে পারিনি। আজকে আপনাদের সামনে আমরা মন খুলে কথা বলতে পারছি। আগে সেই সুযোগ টা ছিলো না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম শুধু একটি দল নয় এটি একটা ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা জামায়াতে ইসলামি কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ৫ই আগষ্ট দেশবাসী তাদেরকেই নিষিদ্ধ করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি পালান না। কিন্তু ৫ই আগষ্ট দিনে দুপুরে ভারতে পালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি আল্লাহর দ্বীনের রাজনীতি করে, দুনিয়ার ক্ষমতার রাজনীতি করেনা। বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কে ক্ষমতায় দেখতে অপেক্ষায় আছে।