মেহেদী ইমামঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বিশুদ্ধ সুপেয় পানি পেয়ে খুশি এলাকার ৪৫টি পরিবার। দৈনন্দিন পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সারাবছর জিএফএস এর মাধ্যমে বিনামূল্যে চাষাবাদে পানি ব্যবহার করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সম্প্রতি নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রামসুপারি পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি জেনারেল ফার্মিং সিস্টেম (জিপিএস) পরিদর্শন করে দেখা যায়, দূর পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঝর্ণার পানি প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণ করে পাইপলাইনের মাধ্যমে তা প্রতিটি পরিবারে সরবরাহ করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের নিকট খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজুবাদাম চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা এবং স্থানীয়দের সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে এই GPS নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় বাবুল চাকমা জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কফি ও কাজুবাদাম চাষকে উৎসাহিত করে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়াও জিপিএস নির্মাণের মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে পাহাড়ে পানির সঙ্কট নিরসনে সরকারকে ধন্যবাদ জানান এই কফি চাষি।
স্থানীয় মিন্টু চাকমা জানান, বিনামূল্যে সারাবছর বাড়ির উঠানে পানি পাচ্ছি। দৈনন্দিন সকল কাজেই এই পানি ব্যবহার করতে পারছি যা এক সময়ে কল্পনা ও করিনি।
স্থানীয় যোগনাবী চাকমা জানান, গৃহস্থালি কাজ কর্ম সবই সারেন তিনি জিপিএস এর পানি দিয়ে। অথচ এক সময়ে পাহাড়ি খাল দিয়ে প্রবাহিত ময়লা পানি ও অনিরাপদ কুয়ার পানি ব্যবহার করতে হতো। এখন এই সমস্যার সমাধান হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
এবিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের মাঠ সংগঠক অটেন চাকমা জানান, এই দুর্গম পাহাড়ে এলাকাবাসীর জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার মাধ্যমে এই এলাকার চিত্রই বদলে গেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড একটি মহৎ কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।