নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সদা হাস্যময় এবং সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত বিএনপি নেতা দীপেন তালুকদারকে আগামী দিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
ইতোমধ্যেই ২৯৯নং রাঙামাটি আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক মাঠে গুঞ্জরিত হচ্ছে দীপেন তালুকদার দীপুর নাম। রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে রাজনীতির মাঠে তার যেমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, তেমনি সামাজিকভাবেও তিনি একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বলে মত প্রকাশ করেছেন তার ঘনিষ্ট বিএনপি মধ্যম সারীর হয়েকজন নেতা।
গত ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর রাঙামাটিতে রাজনীতির মাঠ পুরোদমে বিএনপির দখলে চলে যায়। ফলে রাঙামাটিতে রাজনীতির মাঠে সর্বক্ষণ তৎপর দেখা যাচ্ছে এই বর্ষিয়ান নেতাকে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দীপেন তালুকদার দীপুর রয়েছে অনাড়ম্বর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় ও স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের সাথে সাবলীল জনসম্পৃক্ততা থাকায় এই নেতার রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব।
সম্প্রতি রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় এই নেতার সাথে। দলীয় রাজনীতি ও পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে তিনি জানালেন তার পরিকল্পনার কথা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০২ সালে তিনি রাঙামাটি সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনোনিত হন। এর পরে নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি ওই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তিনি রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২২ এর নির্বাচনেও তিনি নির্বাচনে তিনি স্বপদে বহাল থাকেন। ২০২২ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ৬মাস পর তৎকালীন সভাপতি শাহ আলম মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তিতে পূনরায় নির্বাচন হলে তিনি সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।
আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ধরে আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। রাজনীতিতে তার অবদান ও জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই জনগণের সম্মতি ও কর্মীদের সমর্থন পেলে তিনি আসন্ন সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন।
২৯৯নং আসনটি ধানের শীষের আসন নিশ্চিত করতে তিনি ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগ গ্রহনের কথা জানালেন। এবিষয়ে তিনি জানান, রাঙামাটির ১০উপজেলায় তিনি কর্মীদের সংগঠিত করে যাচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনি দলকে সুসংগঠিত করতে কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি রাঙামাটিবাসীর জন্য কিভাবে কাজ করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান তার পরিকল্পনার কথা। তিনি জানান, পাহাড়ের পিছিয়ে থাকা পর্যটন শিল্প, প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতকরণ, উজাড় হওয়া বন পূনরায় সংরক্ষণ, রিজার্ভ ফরেষ্ট ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী ভুমিকা, উন্নয়নের নামে ফ্যাসিষ্ট সরকার যে সকল জায়গায় দূর্নীতির মেগা প্রজেক্ট গ্রহন করেছে সে সকল জায়গায় বরাদ্দের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনগণ যাতে সেবা পেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করবেন তিনি। এছাড়াও পাহাড়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর বলেও জানান এই নেতা।
আসন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে তার দলীয় কোন প্রতিদ্বন্ধি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এবার গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় নির্বাচন হবে। তাই দল যাকেই মনোনয়ন দিবে তার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে শান্তি, সম্প্রীতি, আধুনিক পর্যটন শিল্প, পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসারে ভুমিকা রাখবেন দীপেন তালুকদার এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বিএনপি ঘরনার রাজনীতিবীদদের।
দীপেন তালুকদার কে নিয়ে ইতোমধ্যে রাঙামাটির জনগণ আগামী নির্বাচন নিয়ে উচ্চ প্রত্যাশা পোষণ করছেন। তারা মনে করছেন দীপু যদি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন, তবে রাঙামারি উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতিতে পাহাড়ে নতুন দীগন্ত উন্মোচিত হবে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ২০২৫ অথবা ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে পারে। গত জুলাই বিপ্লবের ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরে ভারতে আশ্রয় নেয়। এর পরে নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনুস কে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার পূর্বক ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ড. ইউনুস সরকার।