মেহেদী ইমামঃ
প্রশাসনের আয়োজনে রাঙামাটিতে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসকের হল রুমে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
সাম্প্রতিক রাঙামাটিতে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক, ১৪৪ধারা জারি ও পরিবহণ ধর্মঘট এর ফলে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে এ সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় রাঙামাটির জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, পার্বত্য টট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, জেলা বিএনপি সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা জামায়াতে ইসলামির আমীর আব্দুল আলিম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজিব চৌধুরী, বনরুপা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ও জেলা অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবুসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়ির ঘটনার রেশ ধরে রাঙামাটিতে এমন হামলার ঘটনা ভাবনার বিষয়। কার ইন্ধনে এসব হচ্ছে তা খাতিয়ে দেখা দরকার। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত পূর্বক দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
সম্প্রীতি সমাবেশে স্থানীয়দের মাঝে শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে সম্প্রীতি সমাবেশ করা, রাঙামাটি শহর কে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, আইন শৃঙ্খলা কমিটিতে সকল রাজনৈতিক দলের সদস্যদের যোগদান, ধর্মীয় সমাবেশে রাজনৈতিক দলের সদস্যদের আমন্ত্রণ, ১৪৪ধারা প্রত্যাহারের বিষয়ে মাইকিং ও বনরুপায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সমাবেশে বনরুপা হতে জেলা পরিষদ পর্যন্ত সকল প্রকার সমাবেশ নিষিদ্ধ ও হামলার স্বীকার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মনিটরিং এর মাধ্যমে কারা উস্কানী দিচ্ছে তা খুঁজে বের করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রতিটি এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ করা হবে। সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সহযোগিতা চাইবেন বলেও যোগ করেন এই জেলা প্রশাসক।
জোন কমান্ডার এসময় বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় আমরা জনগণের পাশে আছি। রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে সেনা টহল জোরদার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে সেদিন ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক কম হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি হতাহতের সংখ্যা যাতে কম হয়। কারা উস্কানীমূলক কর্মকান্ড করছে তা আমরা মনিটরিং করছি।