নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সন্ত্রাসী সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি)র চেয়ারম্যান ও এক সহযোগীকে ২টি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৬টায় খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিন্দুকছড়ি জোনের নেতৃত্বে পরিচালিত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকেলে সেনাবাহিনীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি)-এর সদস্য ইসমাইল হোসেনকে ২টি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে খাগড়াছড়ি জেলার শান্তিনগর এলাকায় এমএলপি-র শীর্ষ সন্ত্রাসী কংচাই মারমাকে আটক করার জন্য আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাই মারমা একটি তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং পালানোর কোনো পথ না পেয়ে এক পর্যায়ে সে ছাদ থেকে লাফ দেয়। উদ্ধারকৃত কংচাই মারমাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হয়, ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ১টি ৯ মিঃ মিঃ পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে মরদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, কংচাই মারমা দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। কংচাই মারমার বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণের ও অভিযোগ রয়েছে।
সেনাবাহিনীর একটু সুত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সন্ত্রাস দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।