নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের ১১দফা দাবির প্রেক্ষিতে ডাকা কর্মসূচির কর্মবিরতি ভেঙে দায়িত্বে ফিরেছেন রাঙামাটির জেলা পুলিশ। এতে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সদস্যরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ।
প্রতিবেদক কে মুঠোফোনে তিনি বলেন, রাঙামাটি জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরেছেন।
১১দফা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে ঢাকায় প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিন বিকেলে গত তিনদিন কর্মবিরতি শেষে সড়কে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখে জনমনে শান্তি ফেরে। পুলিশের দায়িত্বে ফেরায় মহল্লা এবং মন্দিরে ডাকাতির আতঙ্ক কাটবে বলেও ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক আলমগীর মানিক লেখেন, “রাঙামাটিবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় কাজে যোগ দিয়েছে রাঙামাটির পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ। শুভ কামনা রইলো আপনাদের জন্য। আশা করছি দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ করে জনসাধারণের জন্য থানাকে অতিথিশালায় পরিণত করবেন। প্রিয় রাঙামাটিবাসী আসুন একটি সুন্দর নিরাপদ রাঙামাটির পথচলায় পুলিশকে সহযোগিতা করি।”
পিসিসিপি রাঙামাটি নামের এক ফেসবুক একাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয় ‘‘রাঙামাটি পুলিশিং কার্যক্রম সব সময় আন্তরিক এবং মানবিক ছিল আমাদের রাঙামাটি সম্প্রীতির রাঙামাটি। এখানে দল-মত নির্বিশেষে আমাদের একটি সম্প্রীতির স্ব-অবস্থান আছে আমরা পুলিশকে আন্তরিক স্বাগতম জানাই নিজেদের মনোবল শক্ত করে পুনরায় আইন-শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত হওয়ায়। আমরা পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো রাঙামাটি জেলা পুলিশসহ সকল থানা ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতি।”
এইচএম আতাউর রহমান নামের এক একাউন্ট থেকে উল্লখ করা হয় “ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ পুলিশ, সহযোগিতায় ছাত্র জনতা।”
উল্লেখ্য, দূর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদ জব্দ করে রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ ও পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করার দাবিসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে রাঙামাটিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে সদস্যরা।