॥ নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
“দৈনিক গিরিদর্পন” এবং “সাপ্তাহিক বনভুমি” পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও রাঙামাটি প্রেসক্লাব’র সাবেক সভাপতি, পাহাড়ে সাংবাদিকতার আলোকবর্তিকা চারন সাংবাদিক মরহুম আলহাজ্ব একে এম মকছুদ আহমেদের স্বরণে এক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৬ই মার্চ) সকাল ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম’র শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন “ওয়ার্ল্ড পীস্ এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার উদ্যোগে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই স্বরণ সভার আয়োজন করে।
“ওয়ার্ল্ড পীস্ এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সভাপতি শিক্ষক অরূপ কুমার মুৎসুদ্দী’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় স্মারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাংবাদিক ইয়াসিন রানা সোহেল, ওয়ার্ল্ড পীস্ এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটির উপদেষ্টা স্বপন কুমার মল্লিক, দৈনিক গিরিদর্পণ পরিবারের পক্ষে সাংবাদিক মিল্টন বাহাদুর, ৭১টিভি রাঙামাটি প্রতিনিধি উচিংছা রাখাইন কায়েস, ওয়ার্ল্ড পীস্ এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক বিমল চক্রবর্তী ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক লোমা লুসাই প্রমুখ।
স্মারন সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার অগ্রদূত মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদ এর অবদান কোন ভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। পাহাড়ে সাংবাদিকতা শুরু করেছেন বলেই আজকে এই পাহাড়ে সাংবাদিকতার বিস্তার লাভ করেছে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের একজন জলন্ত স্বাক্ষী মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদ। তিনি সাংবাদিক মধ্যে থেকে পাহাড়ের জনদূর্ভোগ লাঘবে সরকার ও জনগণের মধ্যে সর্ম্পক স্থাপনে অনন্য অবদান রেখে গেছেন। এই অঞ্চলের উত্থান-পতনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তিনি। পার্বত্য জেলায় আজ উন্নয়নের যে সুবাতাস বইছে, যেসব দূর্গম এলাকায় সড়ক ছিলো না সেখানে সড়ক তৈরী হয়েছে এর পেছনে কিন্তু মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদ এর অবদান চির স্বরণীয় হয়ে থাকবে।
বক্তারা আরো বলেন, দীর্ঘ পথ চলায় মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদ সত্য সংবাদ প্রকাশ হতে কখনো নিজেকে বিরত রাখেননি। তার লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা, সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। পাহাড়ের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অবদান কম নয়। তাই একেএম মকছুদ আহমেদ এই পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার বাতিঘর। যখন পার্বত্য এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি উন্নত ছিলো না তখন তিনি মাইলের পর মাইল হেঁটে সংবাদ সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করেছেন নিঃসংকোচে। তাই তার হঠাৎ মৃত্যুতে পুরো পার্বত্য জেলায় একজন অভিভাবক হারালো।