নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটির ১০টি উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তারই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটির জেলা শহরের আসামবস্তির নারিকেল বাগান এলাকায় নির্মিত হতে যাচ্ছে রাঙামাটি সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি।
রোববার (১লা জানুয়ারী) দুপুরে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন, রাঙামাটি জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল বাহার চেধুরী।
এসময় সাবেক রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মতিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাষ্টার ট্রেইনার মাওলানা বকতেয়ার উদ্দিন, মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাসেম কন্সট্রাকশনের প্রতিনিধি রাজু রায়হানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে ইকবাল বাহার বলেন, ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। খুব দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৬টি মসজিদ উদ্বোধন হয়েছে। ২টি মসজিদ টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে আরো ২টি মসজিদ নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিউসি এন্ড রিপ কন্সট্রাকশন (জেবি) এর প্রতিনিধি রাজু বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত আমরা নিধারিত জায়গা বুঝে পায়নি। জমি বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। জমি বুঝে পেলেই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো। জেলার সবকটি মসজিদের মধ্যে আসামবস্তি মসজিদটির সৌন্দর্য ব্যপকভাবে শোভা পাবে বলেও আশাবাদি তিনি।
ইফার সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ অনেক আগে শুরু হলেও রাঙামাটির বিভিন্ন মসজিদের কাজ ভুমি সংক্রান্ত জটিলতায় থেমে ছিলো। তবে অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে বেশ কিছুদিন আগে রাঙামাটি জেলা শহরের মডেল মসজিদটি শহরের কলেজ গেইট এলাকায় শুরু হয়েছে। এবার শুরু হলো রাঙামাটি সদর উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ।
ফাউন্ডেশন সূত্রে আরো জানা যায়, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী মডেল মসজিদের জন্য ৪০ শতাংশ জায়গার প্রয়োজন। জেলা পর্যায়ে ৪তলা ও উপজেলার জন্য ৩তলা এবং উপকুলীয় এলাকায় ৪তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রে নির্মানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
জানা যায়, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামায আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরী গবেষনা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশী পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।