আকাশ মনুঃ
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে রাঙামাটিতে প্রচারাভিযান ও সচেতনতামূলক নাটক পরিবেশন করা হয়েছে।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর ) বিকেলে শিল্পকলা এলাকা থেকে প্রচারাভিযানটি শুরু হয়ে ভেদভেদি, আসামবস্তি, তবলছড়ি পুরাতন বাসষ্টেশন ঘুরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক মঞ্চ নাটক পরিবেশিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম।
জাতীয় পর্যায়ের এনজিও ‘নারীপক্ষ’ এর সহায়তায় অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে তারুণ্যের কন্ঠস্বর প্লাটফর্ম ও উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারীর উপর সহিংসতার আশংকা থেকে ‘প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ এই শ্লোগানে এবার দিবসটি পালন করছে নারী সংগঠনগুলো।
উইভ এর নির্বাহী অফিসার নাই উ প্রু মারমার (মেরি) সভাপতিত্বে এতে অতিথি সারিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্ধুকভাঙা মৌজার কার্বারী রিনা চাকমা, খিপ্পাপাড়া মৌজার কার্বারী মিতালী মারমা, কার্বারী এন্টি চাকমা, কার্বারী জেসি চাকমা, কার্বারী রূপশ্রী দে, সমন্বয়কারী উমেচিং মংসহ উপকারভোগীরা।
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৮ বছরের আগে কন্যা শিশু যাতে বিবাহ না হয় এবং বিবাহের জন্য অভিভাবক জোর করলে তার প্রতিকার কি হবে মঞ্চ নাটকে সেটি ফুটিয়ে তোলা হয়।
বক্তারা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে নির্বাচনে সম্পৃক্ত প্রতিটি প্রশাসন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে নারীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সরকারি জরুরী সেবাসমূহকে অধিক কার্যক্রর ও সক্রিয় রাখা। নারীর উপর যেকোন ধরণের সহিংসতা সংগঠনকারী ব্যক্তি ও তার আশ্রয়-প্রশ্রয় দানকারীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসটি ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালনের পিছনে একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা রয়েছে। ক্যরাবিয়ান দেশ ডোমিকান প্রজাতন্ত্রে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দেলনের সময় একসঙ্গে তিন সহদোর বোনকে হত্যা করা হয়। প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল নামের সেই তিন বোনের স্মরণেই দিবসটি পালনের উদ্ভব ঘটে। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।
দিবসটিকে ঘিরে রাঙামাটির তারুণ্যের কন্ঠস্বরের সদস্যরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।